অস্ট্রেলিয়ায় গাড়ি চাপায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর দুদিন পার হলেও এখনো তার বাবা আমানত উল্যাহ ও মা মরিয়ম বেগমকে তা জানানো হয়নি। তারা জানেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছেলে। ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও নিহত ইসমাইলের ভাই মো. ইয়াছিন সোমবার (৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
নিহত ইসমাইলের ভাই মো. ইয়াছিন বলেন, ভাইয়ার দুর্ঘটনার কথা শুনে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মৃত্যুর খবর শুনলে তারা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। এজন্য তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি জানাচ্ছি না। শান্ত করে পরে জানাবো।
এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় সিডনিতে গাড়ি চাপায় ইসমাইল মারা যান। প্রায় এক বছর আগে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যান। শেখানে তিনি ইউটিসি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনোলজির শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খেজুরতলা এলাকার আমানত উল্লাহ ও মরিয়ম বেগম দম্পতির বড় ছেলে।
Advertisement
নিহত ইসমাইলের ফুফাতো ভাই আবদুল লতিফ বলেন, ঘটনার সময় ইসমাইল ও তার এক বন্ধু ড্রাইভিং শিখছিলেন। তখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার বন্ধু। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি বাইরে থাকা ইসমাইলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
লতিফ আরও বলেন, এক বছর আগে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া যান ইসমাইল। এভাবে তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টকর। তার মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কাজল কায়েস/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement