দীর্ঘ ৪০ বছরের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এ্যালোংজানী নদীতে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটির ৪০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষও হয়েছে। সুদীর্ঘ সময় ধরে এলাকাবাসী এ নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছিল। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যরা সেতুটি নির্মাণের আশ্বাস দিলেও নাম দেখানো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা ছাড়া কার্যত আর কোনো কিছুই হয়নি। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে এটি ছিল স্বপ্নের সেতু। সম্প্রতি এলাকাবাসীর দাবির মুখে ও স্থানীয় এমপির প্রচেষ্টায় সেতুটির নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।স্থানীয়রা জানান, উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপিঠ বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫শ শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বাসের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে বিদ্যালয়ের ক্লাশ করতে হয়। সেতুটি না থাকায় আরিচা থেকে নাগরপুর হয়ে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। দীর্ঘদিন নৌকার মাধ্যমে নদী পারাপার হলেও স্থানীয় লোকজনের উদ্দ্যোগে তৈরি করা হয় বাসের সাঁকো। ঝুঁকি থাকা স্বত্তেও প্রয়োজনের তাগিদে শিক্ষার্থীসহ হালকা যানবাহন প্রতিনিয়ত টোল দিয়ে সাঁকোর মাধ্যমে নদী পারাপার হচ্ছে। সেতুটি উপজেলার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম বলেও জানান তারা।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ৯৩.০২ মিটার দৈর্ঘের সেতুটির প্রস্থ হবে ১০.২৫ মিটার। এতে নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ১০.৪৩ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণে ২ বছর সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকলেও এলাকাবাসীর স্বপ্ন পুরণ করতে দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানীর নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকরা। গত চার মাসে সেতুটির প্রায় ৪০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষার পানিতে যেন কাজের বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য পাইলিংয়ের কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। ৪টি বেজমেন্টের মধ্যে ৩টি বেজমেন্টই ইতোমধ্য শেষ হয়েছে। সেতুটি দর্শনীয় করতে এর দুপাশেই থাকবে সোলার প্যানালের লাইটিং ব্যবস্থা।সেতু নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সড়ক বিভাগের মির্জাপুর শাখার এসডিই নাজমুল ইসলাম জানান, সেতুটি নির্মাণের সময়সীমা রয়েছে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্য সেতুর ৪০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যই এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/পিআর
Advertisement