খেলাধুলা

জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের মতো সিপিএলের চ্যাম্পিয়ন সেন্ট লুসিয়া

ফুটবল ও ক্রিকেট পুরোপুরি ভিন্ন জগতের খেলা। তবুও মাঝে মাঝে ভিন্ন মেরুর দুই জনপ্রিয় খেলায় অলৌকিকভাবে দারুণ মিল ফুটে ওঠে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে নতুন করে এক মিল পাওয়া গেল।

Advertisement

২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা নিশ্চয়ই ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে থাকার কথা। আর্জেন্টিনা ও জার্মানির মধ্যকার এই ম্যাচ শেষের দিকে। তখনও কেউ গোল করতে পারেনি। এমন সময় (৮৮তম মিনিটে) জার্মানি কোচ জোয়াকিম লো মিরোস্লাভ ক্লোসাকে তুলে বিশেষ বার্তা দিয়ে মারিও গোৎসেকে মাঠে নামান। এরপরও গোল হচ্ছিলো না। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাও প্রায় শেষের দিকে। তখনই, ১১৩ মিনিটে সেই গোৎসের দুর্দান্ত গোলেই আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে শিরোপা জিতেছিল জার্মানি।

রোববার সিপিএলে একই কায়দায় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেন্ট লুসিয়া কিংস।

১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা সেন্ট লুসিয়ার শেষ দিকে জয়ের জন্য দরকার ৩০ বলে ৬৬ রান। পিচে তখন ১৫ বলে ১৪ রানে রস্টোন চেজ ও ১৯ বলে ১০ নিয়ে ব্যাট করছেন অ্যারন জোনস। তাদের এমন ধীরগতির ব্যাটিং দেখে হয়তো কেউই মনে করেননি এই ম্যাচ ১১ বলে হাতে রেখে জিতবে সেন্ট লুসিয়া। কিন্তু সেটিই ঘটেছে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে।

Advertisement

দলের কঠিন সময়ে সেন্ট লুসিয়ার কোচ ড্যারেন স্যামি উইকেটে থাকা চেজ ও জোনসের কাছে এক ক্রিকেটারের মাধ্যমে বিশেষ বার্তা পাঠান। তাতেই যেন বদলে গেলো ম্যাচের দৃশ্যপট।

পরের ওভারেই গায়ানার স্পিনার মঈন আলিকে তুলোধুনো করে ২৭ রান (৬, ১, ৬, ৪, ৬, ৪) তুলে নেন সেন্ট লুসিয়ার দুই ব্যাটার। এতে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এরপর সেন্ট লুসিয়ার দরকার হয় ২৪ বলে ৩৯ রান।

এরপর ১৭তম ওভারে ২০ রান ও ১৮তম ওভারে ১৮ রান করে স্কোর লেভেল করেন চেজ ও জোনস। অর্থাৎ ১৮ বলে সেন্ট লুসিয়া তোলে ৬৫ রান। শেষমেশ ১১ বল হাতে রেখেই জয় পায় তারা।

৫০ বলে ৮৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করেন চেজ ও জোনস। চেজ ২২ বলে ৩৯ রান আর জোনস নেন ৩১ বলে ৪৮ রান। এতে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয় সেন্ট লুসিয়ার।

Advertisement

এর আগে ৮ উইকেটে ১৩৮ রান করে গায়ানা।

এমএইচ/এমএস