দেশজুড়ে

ঝিকরগাছায় বেকায়দায় আ.লীগ

যশোরের ঝিকরগাছায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে আওয়ামী লীগ। ১১টি ইউনিয়নের ৭টিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের পাশে থেকে ‘নৌকার বিপক্ষে’ মাঠে নেমেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ।দলটির একাংশের নেতাকর্মীদের দাবি, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা নৌকার ‘বিপক্ষে’ অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি যারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন তাদের মুঠোফোনেও হুমকি দিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। তৃণমূল নেকাকর্মীদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্রোহীদের মদদ দেয়া দুই নেতাকে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে তিনদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এর আগে বিদ্রোহী ৯ প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও জটিলতা নিরসন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। স্থানীয় সূত্র জানায়, ৭ মে যশোরের ঝিকরগাছার ১১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থীর ১১ ইউনিয়নে নৌকারও একজন করে প্রার্থী রয়েছে। তবে বাড়তি হিসেবে সাত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ ও সহ-সভাপতি রমজান শরীফ বাদশা এই বিদ্রোহীদের ইন্ধন দিচ্ছেন। বিশেষ করে ঝিকরগাছার পানিসারা ইউনিয়ন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন, গঙ্গানান্দপুর ইউনিয়ন, গদখালী ও মাগুরা ইউনিয়নে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনয়নপ্রাপ্তদের বিপক্ষে এই দুই নেতা কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে জেলা আওয়ামী লীগও। এমন অভিযোগ করে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠি দেয়া হয়েছে অভিযুক্ত মুছা মাহমুদ ও রমজান শরীফ বাদশাকে। যাতে বলা হয়েছে, এই দুই নেতা নৌকা প্রতীকের পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের মুঠোফোনেও হুমকি দিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। এজন্য তিনদিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে চিঠির অনুলিপি সাংবাদিকদেরও দেয়া হয়েছে।তবে অভিযুক্ত ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ দাবি করেছেন, তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে নেই। নৌকার প্রার্থীদের পক্ষেই আছেন। এছাড়া তিনি দাবি করেছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এই চিঠি পাঠাতে পারেন না। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে এই চিঠি দেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ইতোপূর্বে দলের বিদ্রোহীদের বিপক্ষে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তবে ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দফতর সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু চিঠি দিয়েছেন। এসব বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মিলন রহমান/এসএস/পিআর

Advertisement