সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। এছাড়া শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও রসুনের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা।শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন চাল ও সবজির বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে।চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর কচুক্ষেত বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আলী আহম্মদ জানান, আমরা পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে আনি। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।একই কথা জানান কচুক্ষেত বাজারের চাল ব্যবসায়ী শাজাহান মিয়া। তিনি বলেন, মিনিকেট কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা করে। এছাড়া নাজিরশাইল হয়েছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, লতা ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা, লাল স্বর্না ৩৮ টাকা, মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা।ডালের মধ্যে প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, গোল বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, আলু ১৮ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা। এছাড়া টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি খোলা আটা ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, ২ কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা ৭০ থেকে ৭২ টাকা, ময়দা ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, ২ কেজি ওজনের প্যাকেটজাত ময়দা ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়।ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, ৫ লিটার বোতল ৫৭৫ টাকা, এছাড়া প্রতি কেজি চিনি ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এদিকে বিভিন্ন ধরণের মসলার মধ্যে দেশি আদা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি রসুন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা এবং হলুদ ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।মাছ-মাংসের মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, গরুর মাংস ৪২০ টাকা, খাসীর মাংস ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা, ইলিশ মাছ আকারভেদে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই মাছ ১৯০ থেকে ৩৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও নলা মাছ ১২০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আরএম/এমএমজেড/পিআর
Advertisement