দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জের আদমজী-চাষাঢ়া সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে

সামান্য বৃষ্টি হলেই যেন বেহাল হয়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক। দীর্ঘদিনের সংস্কারের অভাবে ১২ কিলোমিটারের এই সড়কের বেশিরভাগ স্থানেই ইট-খোয়া উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলোকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সেই সঙ্গে যাত্রীদেরও থাকতে হয় ঝুঁকির মধ্যে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই যাত্রীদের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রীরা রিকশা থেকে পড়ে আহত হচ্ছেন। যানবাহনগুলোকে ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে চলতে হচ্ছে এঁকে বেঁকে।

বিশেষ করে সড়কটির সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, আদমজী ইপিজেড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, আইটি স্কুল মোড়, হাজীগঞ্জ, খানপুর, চাষাঢ়া এলাকার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। আর হাজীগঞ্জ দুর্গের সামনে সৃষ্ট গর্ত এত বড় আকার ধারণ করেছে দূর থেকে দেখলে ছোট পুকুর মনে হবে।

যার কারণে সড়কের এই অংশটি পার হতে ছোট ছোট যানবাহন থেকে শুরু করে বড় যানবাহনগুলোকে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। এই সতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে যানবাহনের ধীরগতির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

Advertisement

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কটির সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে পাঠানটুলী এলাকা পর্যন্ত অংশ নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে (সওজ) অধীনে। আর পাঠানটুনী এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সদরের চাষাঢ়া এলাকা পর্যন্ত অংশটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডের অধীনে।

সেই সঙ্গে আদমজী-চাষাঢ়া সড়কটি সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর নারায়ণগঞ্জ শহরের যাতায়াত করার অন্যতম প্রধান সড়ক। পাশাপাশি ডিপিডিসির কার্যালয়, সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো, সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন, আদমজী ইপিজেড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, র্যাব-১১ এর সদরদপ্তর, সিদ্ধিরগঞ্জ টেলিফোন অফিস, পদ্মা ও মেঘনা ডিপো, জেলা প্রশাসকের বাংলো, ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ সড়কের দুপাশে রয়েছে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া রয়েছে পোশাক কারখানা।

অটোরিকশা চালক মাসুম আহমেদ বলেন, সড়কের এই অবস্থার কারণে বড় বড় যানবাহনগুলো কোনোরকম চলাচল করতে পারলেও ছোট যানবাহন নিয়ে এই সড়কে চলাচল করা কষ্টকর। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা হেলে পড়ে। অনেক সময় যাত্রী পড়ে গিয়ে আহত হন।

নাজমুল হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, সড়কটির অধিকাংশ স্থানেই কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমাদের জন্য এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিকল্প রাস্তা সহজলভ্য না হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে না এসেও পারা যায় না।

Advertisement

নাসিক উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজেট হয়ে গেলেই কাজ শুরু হবে। আমরা আইটি স্কুলের মোড় থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার করে দেবো।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, খুব শিগগির শিমরাইল থেকে আদমজী এলাকা পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার করা হবে। আমাদের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন। এখন শুধু বাজেটের অপেক্ষায় রয়েছি। আপাতত আদমজী এলাকায় সৃষ্ট বড় বড় খানাখন্দ সাময়িক সময়ের জন্য সংস্কার করে দিচ্ছি।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/জেডএইচ/জেআইএম