মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে চতুর্থ দফা জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও চিকিৎসক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মরদেহ।
Advertisement
রোববার (৬ অক্টোবর) বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দয়হাটায় তাকে দাফন করা হয়। এরআগে বেলা সাড়ে ১১টায় লাশবাহী গাড়িতে দয়হাটা নিজ বাড়িতে পৌঁছায় বি চৌধুরীর মরদেহ।
এসময় মরদেহ দেখতে আসা নারীরা বিভিন্ন অসুবিধা ও রোগের কথা জানালে বাবার মরদেহের পাশে দাঁড়িয়েই পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন লিখে দিতে দেখা যায় বি চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা শারমিন চৌধুরীকে।
উপস্থিতি কয়েকজন জানান, মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতে যাচ্ছিলেন ডা. শায়লা চৌধুরী। সেখানে স্থানীয় নারীরা তাকে ঘিরে ধরে তাদের বিভিন্ন রোগের কথা জানান। চিকিৎসক শায়লা একে একে সবার কথা শুনে তাদের প্রেসক্রিপশন দেন।
Advertisement
এসময় একজন এসে বলেন, আজকে না হয় থাক। তখন ডা. শায়লা তাকে বলেন থাকবে কেন? মানুষের সেবা করতে পারলে বাবা খুশি হবেন। এটাই বাবা শিখিয়েছেন। ডা. শায়লার এমন ভূমিকায় খুশি স্থানীয়রা।
রোগের বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া এক নারী বলেন, ‘উনি এলে আমরা আসি। আমরা রোগের কথা বলেছি, তিনি ওষুধ লিখে দিয়েছেন। অন্য ডাক্তারের কাছে গেলে তো ভিজিট লাগতো। বি চৌধুরীও আমাদের পরিবারের দুজনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছেন।’
স্থানীয়রা জানান, বিক্রমপুরের দুস্থ মানুষের কথা শুনে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন বি চৌধুরী। বাবার মতো গ্রামের বাড়িতে এলে স্থানীয়দের চিকিৎসাসেবা দেন ডা. শায়লা শারমিন। আজ বাবা হারানোর দিনও যারা এসেছেন, সাধ্যমতো তাদের পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডা. শায়লা শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবা সারাজীবন বিক্রমপুরের মানুষেনর জন্য ছিলেন। তার শূন্যতা পূরণ সম্ভব নয়। তবে এটা প্রমিজ করতে পারি, এ এলাকার মানুষের জন্য সবসময় আছি। তাদের ভালোমন্দ সাধ্যমতো দেখবো।’
Advertisement
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বি চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জিকেএস