ক্যাম্পাস

তুফান আকসার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবিতে সংহতি র‌্যালি

তুফান আকসার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাবেশ ও সংহতি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

সমাবেশে বক্তব্য দেন কথা সাহিত্যিক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, কবি হাসান রোবায়েত, ঢাবির সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য তুহিন খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিন ফারুক আমিন, র‌্যাপ শিল্পী মাহমুদ হাসান তাবিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান।

আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, আমরা বলতে চাই, আমরা পৃথিবীর সব মিথ্যার বিপক্ষে। আমরা যে রকম জুলাই বিপ্লব করেছি সব নির্যাতিত মানুষ, মুক্তিকামী মানুষ একসাথে। ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক পার্থক্যের বাইরে গিয়ে আমরা দেশের জন্য কাজ করেছি, রাস্তায় নেমেছি, জীবন দিয়েছি। একইভাবে দেশকে গড়তে হলে, বিশ্বকে মিথ্যা মুক্ত করতে হলে আমাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রথমত বাংলাদেশকে যত ধরনের মিথ্যা ন্যারেটিভ আছে, যত রকমের মিথ্যা গালগল্প বানিয়ে মানুষকে ভিক্টিমাইজ করা হয়েছে সেটিকে আমরা ভাঙতে চাই। আমরা পৃথিবী ব্যবস্থা ভাঙতে পারব না, হয়তো বা সেটি সময়সাপেক্ষ ব্যপার। কিন্তু আমরা এই জুলাই বিপ্লব ও তুফান আল আকসার এক বছর পূর্তির স্পিরিট নিয়ে আগামীর বাংলাদেশকে মিথ্যামুক্ত, জুলুমমুক্ত ও সব রকমের অন্যায়-অবিচার মুক্ত একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করব।

Advertisement

জাহিন ফারুক বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বাইডেনকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলছে। যার হাতে ফিলিস্তিনের শিশুদের রক্ত লেগে আছে। আমরা এদেশের মানুষ তাকে এই ম্যান্ডেড দেইনি। তিনি ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনে গিয়ে আমাদের বিপ্লবী মাহফুজকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। যেই ফাউন্ডেশন ইসরায়েলি বাহিনীকে ব্যাপক ফান্ডিং করে। এগুলো তিনি ঠিক করেনি। এগুলো সবাইকে খুব ক্লিয়ারলি বুঝতে হবে। এগুলোর প্রতিবাদ করতে হবে। নাহলে জায়নবাদীরা যে ধরনের প্রভাব বিস্তার করছে সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

সভাপতির বক্তব্যে জামালউদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, তুফান আল আকসার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আমাদের আজকের এই কর্মসূচি। আমাদের কর্মসূচি এখানেই শেষ নয়। আগামীকাল এবং পরশুও আমাদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি আছে। আজাদীর প্রেরণায় আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।

সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের একটি বিশাল পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে সংহতি র‌্যালি করে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদ নামের সংগঠনটি।

এমএইচএ/এমআরএম/জিকেএস

Advertisement