জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে নতুন একটি সংবিধান সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে। যে সংবিধান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের সকল মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বোধ, নীতি-নৈতিকতার সুরক্ষাসহ সকল ধর্মের মানুষের ধর্মকর্মের সুরক্ষা দেবে। কারো প্রতি বৈষম্য-বঞ্চনার অবকাশ থাকবে না।
Advertisement
শনিবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগাল এইড সেন্টার’ কর্তৃক আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের সংবিধান: গণপ্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও রাষ্ট্রচিন্তক উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার শুরুতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সকল শহীদ ও হতাহতদের স্মরণ করে তাদের মাগফেরাত ও সুস্থতা কামনা করা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বিদ্যমান সংবিধানে বহু স্ববিরোধিতা রয়েছে। সংবিধান, বিচার ও নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে যাতে সাংঘর্ষিক বিধি না থাকে এজন্য গঠিত তিনটি কমিশনের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।
Advertisement
গোলটেবিল আলোচনায় সর্বসম্মত প্রস্তাব করা হয় যে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের সংবিধানসহ প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করেছে। তারা বিচার, প্রশাসন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে এতটাই দলীয়করণ করেছে যে, এই সংবিধানকে সংস্কার করে নতুন বাংলাদেশকে সাজানো সম্ভব নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তী সরকার বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে আমলে নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি সংবিধান উপহার দেবেন।
বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সাংবাদিক মোবায়েদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক ড. মাইমুল আহসান খান, সংবিধান বিশেষজ্ঞ সাবেক বিচারক ইকতেদার আহমেদ, সাবেক বিচারক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাসদার হোসেন, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক, সাবেক বিচারক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মীর মানজুর মাহমুদ, ইসলামিক স্কলার মুফতি আল-আমীন কাসেমী, কলামিস্ট ও সমাজচিন্তক ড. নুরুল আমিন, ইসলামিক অ্যাক্টিভিস্ট মনযুরুল হক প্রমুখ।
এফএইচ/এসএইচএস/জিকেএস
Advertisement