২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে লুকিয়ে বিয়ে করেন কোরিয়ার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী-অভিনেত্রী পার্কজি-ইওন ও বেসবল খেলোয়াড় হোয়াং জায়ে গিউন। বিয়ের চার মাস পর জনসমক্ষে ঘটনা স্বীকার করেন তারা। আসছে ডিসেম্বরে তাদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। সম্প্রতি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
Advertisement
জিওন ও জায়ের বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কোরিয়ার রাজধানী সিউলের পারিবারিক আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন জমা দেওয়ার আগে দুজনই ভক্তদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। কারণ, এ খবর প্রকাশ্যে আসায় তাদের অনুরাগীরা ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। জিওন ও জায়ের আরও জানিয়েছেন তাদের সংসারজীবন নিয়ে কেউ যেন কোনো প্রশ্ন না করেন। কারণ এতে তারা ব্রিবত বোধ করবেন।
গত মাস থেকেই বিচ্ছেদের জন্য আলাপ-আলোচনা শুরু করেন জিওন-জায়ের দম্পতি। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেন, শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করবেন। বিচ্ছেদের এই আলোচনা বেশ গোপনেই চলছিল। কিন্তু জুন মাসে তাদের আলাদা হয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে চলে আসে। এ বিষয়ে জিওন ও জায়ের সাংবাদিকদের কাছে কোনো কথা না বলায় সবাই একে ‘গুজব’ বলে চালিয়ে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
Advertisement
সম্প্রতি একটি ম্যাচ খেলছিলেন জায়ের। সেসময় রেডিওতে খেলার ধারাভাষ্যকার বলে ওঠেন, ‘বন্ধুরা আপনারা কি জানেন, হোয়াং জায়ে গিউনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে!’ এ কথা মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জেনে জিওনও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শুধু তাই নয়, তাদের বিচ্ছেদের কথা ভাইরাল হলে তিনি তার ইউটিউব কনটেন্টের সব কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
জিওন-জায়ের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ায় জিওনের অ্যাটর্নি চোই ইউনা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জিওন-জায়েরের বনিবনা হচ্ছিল না। এ জন্য তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিউলে পারিবারিক আদালতে তারা বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। গণমাধ্যমকে অনুরোধ করবো, আপনারা এ বিষয়ে মনগড়া কোনো সংবাদ প্রচার করবেন না। এতে তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।’
এক বিবৃতিতে জিওন বলেছেন, ‘এমন মন খারাপের একটি খবর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছি। বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর এ বিষয়ে সবাইকে জানাবো।’
পার্কজি-ইওন ২০২৪ সালের ‘ওয়ানাবে’, ২০২৩ সালের ‘গ্যাঙনাম জোম্বি’, ২০১০ সালের ‘মাস্টার অব স্টাডি’ ছবিগুলোতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত সিরিজের মধ্যে রয়েছে ‘আই ওয়ানা হিয়ার ইয়োর সঙ’।
Advertisement
এমএমএফ/আরএমডি/এমএস