কলকাতায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসকে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে কিছুদিন ধরে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। সেই ঘটনার আগুন নিভতে না নিভতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য।
Advertisement
এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এরই মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। জানা গেছে, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) প্রতিদিনের মতো দুপুরে কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়েছিল নয় বছরের ওই নাবালিকা। কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরেনি সে। শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে মহিষমাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের অভিযোগ, তাদের কথায় প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে হবে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
পরে পরিবারের সদস্যরা সারারাত শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন। শনিবার ভোরে মহিষমারি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় তার নিথর দেহ।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে জয়নগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পরিবারের দাবি, পুলিশ যদি তাদের অভিযোগে গুরুত্ব দিতো, তাহলে হয়তো কন্যাকে বাঁচানো যেতো।
এর জেরে পুলিশ ফাঁড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একপর্যায়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
Advertisement
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ রূপান্তর গোস্বামী বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এখন পর্যন্ত একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের পুরো টিম সেখানে রয়েছে।
জয়নগর থানার অন্তর্গত মহিষমারি এলাকা অপরাধপ্রবণ হওয়ায় ওই অঞ্চলে একটি পুলিশ ক্যাম্প রাখা হয়েছে। সেখানে দিনরাত পুলিশি পাহারা থাকে। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
ডিডি/কেএএ