দেশজুড়ে

বগুড়ায় ১০৭টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

আগামী ৭ মে চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার শেরপুর ও নন্দীগ্রামের ১৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ দুটি উপজেলায় ১৫৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে শেরপুর উপজেলার ১০টি এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, এ উপজেলায় মোট ১০২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে পুলিশের হিসেবে ৬০টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৬৭৩ জন। ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪১ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০৭ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫৯ জনসহ ৫০৭ প্রার্থী  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছা. আছিয়া খাতুন জানান, নন্দীগ্রামের ৫টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে ৪৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন। ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৭২ জনসহ মোট ২৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হবে।বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুস আলী জানান, বুধবার থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পাঠানো শুরু হয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুই উপজেলায় ১০৭ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।লিমন বাসার/এসএস/পিআর

Advertisement