জাতীয়

‘শুধু একটি ক্যাডারের প্রতিনিধি দিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্ভব নয়’

গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বাতিল করে সব ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। শুধু একটি ক্যাডারের প্রতিনিধি দিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন পরিষদের নেতারা।

Advertisement

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পরিষদের নেতারা। এসময় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সদস্য, সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তথ্য বেতার ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে আট সদস্যের মধ্যে ২৫টি ক্যাডারের কোনো সদস্য নেই। বরং কমিশন প্রধানসহ ছয়জন সদস্য একটি ক্যাডারের, যারা সিভিল প্রশাসনের বৈষম্য সৃষ্টিকারী। এছাড়া এর আগেও বৈষম্য নিরসনে তাদের দিয়েই কমিটি গঠিত হয়েছিল এবং তারা সেই সুযোগে বৈষম্য আরও বাড়িয়েছেন।

‘পরিষদ মনে করে, বৈষম্যপূর্ণ এ কমিশন কোনোভাবেই বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে না বরং বিদ্যমান সিভিল প্রশাসন আরও গণবিরোধী হবে। তাই, পরিষদ এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং সব পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তি করে পুনর্গঠন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’

Advertisement

সিভিল সার্ভিসের বাইরে জনপ্রশাসন বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞকে কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ দেশের ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে ২৫টি ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় ৬০ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে ২৫টি ক্যাডারে প্রায় ৫৩ হাজার কর্মকর্তা চাকরি করেন। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, জনসেবা এ ২৫টি ক্যাডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তাই ২৫টি ক্যাডারকে পাশকাটিয়ে শুধু একটি ক্যাডারের প্রতিনিধি দিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্ভব নয়।

মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা রাজপথে নামতে চাই না। কিন্তু সরকারকে বুঝতে হবে আমরা দেশের মোট ৯০-৯২ শতাংখ ক্যাডার কর্মকর্তার প্রতিনিধিত্ব করি। তাই আমাদের উপেক্ষা করা হলে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়ী থাকবেন, যা সরকারের জন্য স্বস্তিকর হবে না।

এ সময় তথ্য ক্যাডারের মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, গণপূর্ত ক্যাডারের মো. হাফিজুর রহমান, কৃষি ক্যাডারের মো. আরিফ হোসেন, শিক্ষা ক্যাডারের ড. মো. মফিজুর রহমান, পশুসম্পদ ক্যাডারের শাহাদাত হোসেনসহ ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আরএমএম/এমএএইচ/জেআইএম