‘জাকাত ব্যবস্থা যদি পুরোপুরি কার্যকর হতো তাহলে শিক্ষার সমান সুযোগ তো বটেই, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যেরও অবসান হতো। মধ্যম লেভেলের দারিদ্র্যও থাকতো না। উচ্চবিত্তরা ঠিক মতো জাকাত পরিপালন করলে কোনো দেশেই বড় বৈষম্য থাকবে না। তবে আমি মনে করি জাকাতের অর্থ ব্যবহারের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাত হলো শিক্ষা। শুধু শিক্ষা নয় সমাজের সব স্তরের বৈষম্য দূর করে জাকাত।’
Advertisement
শনিবার ঢাকায় সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্ন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক বৈষম্য আছে। আমাদের দেশের বাজেটে শিক্ষা খাতে যতটুকু বরাদ্দ থাকা উচিত তা থাকে না। এটা সরকারের ঠিক দোষ বলবো না। কারণ দেশের রাজস্ব আয় এতটাই কম যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজসেবাতেও তার প্রভাব পড়ে। তারপরও যা বরাদ্দ হয় সেখানে যে বৈষম্য নিরোধ করা গেছে তা বলবো না।
সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের স্নাতক ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত অস্বচ্ছল এক হাজার আটশ শিক্ষার্থীকে ২.৫ বছরব্যাপী মাসিক ৪০০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করছে। এসব বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
Advertisement
ঢাকার ইনস্টিটিউটি অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ খান, সিজেডএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদ্য গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়াসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম