মাদারীপুর সদর হাসপাতালে সাড়ে তিনমাস ধরে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন শত শত প্রসূতি। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হচ্ছে রোগীদের।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালে একজন অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সে পদের চাকরি ছেড়ে ডা. আব্দুর রহিম সুমন বিদেশে চলে গেছেন। এরপর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
জেলায় চারটি অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন। বাকি তিন পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি আছে। এ সুযোগে রোগীদের কৌশলে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় এক শ্রেণির দালাল চক্র।
শহরের থানতলী এলাকার প্রসূতি তামিমা আক্তার বলেন, হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক দেখিয়েছি। তিনি বলেছেন বাচ্চার পজিশন ভালো না। সিজার অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় এখানে অপারেশন সম্ভব না।
Advertisement
সদর উপজেলার ঝাউদি এলাকার শিউলি আক্তার বলেন, বোনকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এসে শুনি এখানে তিন মাসের বেশি সময় ধরে সিজার অপারেশন হয় না। বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ আছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতনকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ডা. আব্দুর রহিম সুমন চাকরি ছেড়ে বিদেশে চলে গেছেন। এজন্য হাসপাতালে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজন অ্যানেস্থেসিয়া এনে কাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/এএসএম
Advertisement