বিনোদন অঙ্গনে কাস্টিং কাউচ আতঙ্ক আজ যেন সাধারণ ঘটনা। ছোট বা বড়পর্দার অনেক অভিনেত্রী বিভিন্ন সময় কাস্টিং কাউচ (কাজ দেওয়ার প্রলোভনে কুপ্রস্তাব) বিষয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার ভাগ দিয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনাও কম হয়নি। এবারে কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী আশা।
Advertisement
সম্প্রতি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ফাঁস করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী আশা নেগি। বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, জানিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তখন আমার বয়স বেশি হলে ২০ হবে। আশপাশে থাকা মানুষগুলোই কাজ দিতেন। আমাকেও সে রকম লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে হয়েছিল। তাদের একজন আমাকে একা দেখা করতে বলেছিলেন। তিনি আমাকে নানাভাবে প্রভাবিত করতে থাকেন, রীতিমতো আমার ব্রেনওয়াশ করতে থাকেন। তিনি বলেন, অভিনেত্রীদের এভাবেই কাজ পেতে হয়, এভাবেই তারা বড় হন, সফলতা লাভ করেন।’
আশার তখন অনেক আশা, বড় অভিনেত্রী হবেন। তবে কি তাকেও আপোস করতে হবে? ওই ভদ্রলোক যেহেতু বলছেন, সব টেলিভিশন অভিনেত্রীকে এভাবে আপোস করতে হয়েছে! যদিও সরাসরি তাকে কেউ বলেনি যে আপোস করো। তবে বুঝতে তার বাকি রইল না। কী করেছিলেন আশা?
Advertisement
তরুণ অভিনেত্রী আশা ওই ব্যক্তিকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এভাবে তিনি কাজ চান না। দৃঢ়ভাবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেও মনের ভেতরে দানা বাঁধে ভয়। এক বন্ধুর সঙ্গে ঘটনাটি শেয়ার করলে তিনিও বিস্মিত হননি। তিনিও আশাকে জানান, শোবিজে এমন ঘটনা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: অনন্যা কি ‘দ্বিতীয় আলিয়া ভাট’ বিচ্ছেদ গুঞ্জনের মাঝেই আলোচনায় ঐশ্বরিয়ার ডায়েরির পাতাভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পবিত্র রিশতা’য় পূর্বী দেশমুখ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আশা নেগি। এরপর ‘বারিশ' ধারাবাহিকে গৌরবী কর্মকার চরিত্রে তাকে দেখা যায়। এ ছাড়া ‘ফেয়ার ফ্যাক্টর’, ‘খাতরোঁ কে খিলাড়ী-৬’ শোতেও আশাকে দেখা গেছে। এখন তিনি ওটিটি কাঁপাচ্ছেন।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আশা নেগি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘হানিমুন ফটোগ্রাফার’। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জিও সিনেমায় এর প্রিমিয়ার হয়। এতে তিনি অম্বিকা নাথ নামে একজন ফটোগ্রাফারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
এমএমএফ/আরএমডি/এএসএম
Advertisement