বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও লক্ষ্মীপুরে দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর তাদের বাবা পৃথক অভিযোগ করেন।
Advertisement
অভিযোগগুলো দাখিলে আইনি সহায়তা দিচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান শুরু করেছে।
ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া দুজন শহীদের পরিবার জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা শহীদ পরিবারদের মামলা দায়ের প্রক্রিয়ায় আইনি সহায়তা প্রদান করেছি।
Advertisement
তিনি আরও জানান, ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাবস্থায় যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী কাজলা পেট্রোল পাম্পের পাশের পকেট গেটে ফ্যাসিবাদের দোসরদের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার দনিয়া কলেজের বিএ (পাস) কোর্সের ছাত্র শহীদ সাকিব হাসান ও ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনি এলাকায় গুলিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শহীদ ওসমান পাটওয়ারী ওরফে ওসমান গণি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির তত্ত্বাবধানে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩ (২)(এ), ৩ (২)(গ), ৩ (২)(এইচ), ৪ (১) এবং ৪ (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
শহীদ সাকিব হাসানের বাবা মো. মর্তুজা আলম এবং শহীদ ওসমান গণির বাবা মো. আব্দুর রহমান পৃথক অভিযোগ দুটি দায়ের করেছেন।
আইনজীবী সাকিল আহমদ জানান, যাত্রাবাড়ীর ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক অজ্ঞাত এবং লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
Advertisement
৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ভারতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর মধ্যে চিফ প্রসিকিউটর বরাবর বেশ কিছু জমা দেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলো তদন্ত সংস্থায় দাখিল করা হয়।
এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম