দেশজুড়ে

এক সপ্তাহে কেজিতে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ১৮০ টাকা

এক সপ্তাহের ব্যবধানে গাইবান্ধায় কেজিতে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ১৭০-১৮০ টাকা। শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকা। অতিবৃষ্টিতে মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

শহরের পুরাতন পাইকারি বাজারে প্রতিদিন ৭-৮ টন কাঁচা মরিচ বিক্রির জন্য আসে। এবার মরিচ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রতিদিন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র দেড় টন।

বাজারে গত সপ্তাহে প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে আজ সে দর দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকার কাছাকাছি।

মরিচ চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুমের শুরুতে তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে মরিচক্ষেত। গতমাসে দুই দফা বৃষ্টিপাত ও চলতি মাসের শুরুতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেশিরভাগ মরিচক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এতে চাষিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।

Advertisement

নহিম উদ্দিন নামের আরেক কৃষক বলেন, দুইবিঘা মরিচক্ষেতের প্রায় সব শেষ। বৃষ্টির পানিতে গাছ পচে মারা যাচ্ছে। আজ মাত্র ১৮ কেজি মরিচ পেয়েছি। এ ক্ষেত থেকে গতমাসে একদিনে ১২ মণ মরিচ তুলেছি।

খুচরা বিক্রেতা শাহিন মিয়া বলেন, আড়ত থেকে পাল্লা প্রতি (পাঁচ কেজি) ১৪০০-১৬০০ টাকা কিনে কত করে বিক্রি করব। আমি পোয়া (২৫০ গ্রাম) ৯০ টাকা করে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করছি।

মরিচ ক্রেতা নাইমুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে ১৩০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি। আজ সেটি ৩৬০ টাকা করে কিনলাম। শুধু মরিচ নয় সব কাঁচা জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে।

একই বাজারের আড়তদার নুর আলম বলেন, চাষিদের ক্ষতির পাশাপাশি বাজারের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মরিচ আমদানি না থাকায় সবার আয় কমে গেছে।

Advertisement

পুরাতন বাজারের ইজারাদার সোয়েব হাক্কানি বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচ আসা কমে গেছে। বৈরী আবহাওয়া কারণে অন্য কাঁচাপণ্যও নেই।

এএইচ শামীম/আরএইচ/এএসএম