মতামত

ট্রাম্পের দ্বিতীয় ইনিংস নাকি কমলার প্রথম

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দামামা বেজে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে এমন এক নির্বাচন এবার হচ্ছে, যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎই নয়, অন্য অনেক বিষয়ের মতো বিশ্বের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে। ফলে এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ট্রাম্প কি আবারও জয়লাভ করতে পারবেন নাকি হোয়াইট হাউসে এশীয়-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ কমলা হ্যারিস নতুন ইনিংস শুরু করবেন?

Advertisement

বিভিন্ন জরিপে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ একসময় ধরেই নিয়েছিলেন এবারের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঠেকানোর কোনো পথ নেই। তবে জো বাইডেন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার পর ডেমোক্র্যাট শিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করে। আর তাকে প্রার্থী করার পর থেকে অবস্থা বদলে যেতে শুরু করে।

কট্টরপন্থী ট্রাম্প মার্কিন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কাছে আস্থার জায়গা হারিয়েছিলেন বহু আগেই। দেশে-বিদেশে তার নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জনমনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে। যে চার বছর ক্ষমতায় ছিলেন ট্রাম্প, সে সময় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘শত্রু’ আর ন্যাটোকে ‘অচল’ বলে ঘোষণা করছিলেন। যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোটকে প্রকাশ্যে স্বাগত জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন অন্য দেশগুলোরও উচিত সে পথে হাঁটা। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বৈশ্বিক বিভিন্ন চুক্তি থেকেও প্রত্যাহার করে নেন যুক্তরাষ্ট্রকে। ওই সময়ে তিনি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ছুড়ে ফেলেন, মিত্র দেশগুলোর ওপর ট্যারিফ আরোপ করেন এবং বাণিজ্য ও সামরিক খাতের ব্যয় নিয়ে জার্মানির সঙ্গে বিবাদে জড়ান। অন্যদিকে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার মানবেন না বলে গোঁ ধরার পর, তাঁর সমর্থকেরা কংগ্রেস লন্ডভন্ড করে ছেড়েছিল।

এই ব্যাপারগুলো সামনে তুলে ধরে প্রথম থেকেই কমলা ট্রাম্পকে আক্রমণ করার কৌশলে আগাতে থাকেন। নির্বাচনী প্রচারে নেমে প্রথম সমাবেশেই নভেম্বরের নির্বাচনকে তিনি ‘প্রাক্তন প্রসিকিউটর এবং দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার’ লড়াই হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ফলে দ্রুতই জরিপগুলোও কমলার পক্ষে কথা বলতে শুরু করে। দেশব্যাপী সামগ্রিকভাবে চালানো জরিপে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা জনসমর্থনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্রুত ছাড়িয়ে যেতে থাকেন। তবে ভোটারদের মতিগতি বুঝতে এমন সমীক্ষা যে নির্ভরযোগ্য নয়, আট বছর আগের নির্বাচনে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ যে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হিলারি ক্লিনটন আপাতদৃষ্টিতে এগিয়ে থেকেও নির্বাচনে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে৷

Advertisement

তবে ট্রাম্পের জন্য সুখবর হলো যে, সামগ্রিকভাগে জরিপে এগিয়ে যাওয়া কমলার সুখকর অবস্থা বেশিদিন স্থায়ী হবেনা বলেই ইঙ্গিত আসছে। সম্প্রতি তিনি পিছিয়ে পড়ছেন ব্যাটলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে। মূলত এই রাজ্যগুলোর ভোটেই নির্ধারিট হবে প্রেসিডেন্ট। ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইমারসন কলেজের চালানো এক জরিপে দেখা যায় ৭টি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ভেতরে ৫টিতেই এগিয়ে রয়েছে ট্রাম্প। নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের চালানো ১ থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া— এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে দুটিতে স্পষ্ট ব্যবধানে কমলা পিছিয়ে পড়েছেন। পেনসিলভানিয়া এগিয়ে থাকলেও বেশ কিছু জরিপ বলছে ব্যবধান সামান্যই। এর আগে এসব অঙ্গরাজ্যে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।

তবে ট্রাম্পের জন্য দুশ্চিন্তার ব্যাপার হচ্ছে— কিছুদিন আগেও বাইডেনের বয়সকে যেভাবে নির্বাচনি প্রচারের অস্ত্র বানিয়েছিল রিপাবলিকান শিবির এখন ঠিক সেটাই ট্রাম্পের বয়স নিয়ে করছে ডেমোক্র্যাটরা। ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বয়সের দিক থেকে তিনি বাইডেনকেও ছাড়িয়ে যাবেন। হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বুড়ো প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। যে কারণে মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে সেইসব রিপোর্ট প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, কমলার বয়স এখন ৫৯ বছর। বয়সের হিসাবে ট্রাম্পের চেয়ে শারীরিকভাবে যোগ্য বলেই বিবেচিত হচ্ছেন তিনি। তছাড়া কমলা বাইডেনের মতো নন। তিনি তার পূর্বসুরীদের মতো সহজাত উদ্দীপনাময় ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। বাইডেন উত্তর আমেরিকাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতাও তার রয়েছে।

তাছাড়া, ডেমোক্রেটিক পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের নারী, কৃষ্ণকায়, লাতিন ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাইডেন এই চার গ্রুপের সমর্থনই হারিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, এদের ভেতরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটার ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছিলেন। তবে কমলা প্রার্থী হওয়ার পর এই ভোটারদের ভেতরে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

Advertisement

তবে ভোটের ইক্যুয়েশন বলছে কৃষ্ণাঙ্গ ভোট যদি কমলার ব্যালটে যায় তবে ভারতীয় আমেরিকানদের ভোটের বড় অংশ পাবেন ট্রাম্প। কারণ, ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক ট্রাম্পের শাসনামলে সর্বকালের সবচেয়ে ভালো সময় অতিক্রম করছিল। উপমহাদেশের অন্য অংশের হিন্দুত্ববাদীদের ভোটও ট্রাম্প পাবেন। এর মূল কারণ হচ্ছে কাশ্মীর, চীন ইত্যাদি ইস্যুতে ট্রাম্প শক্তভাবে মোদীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অপরদিকে কাশ্মীর, নাগরিকত্ব আইন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে তারা হিন্দুত্ববাদের জন্য বিপদজনক মনে করে। তাছাড়া ভারতীয়রা এখানে নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রেখে প্রভাবশালী শ্বেতাঙ্গ সংস্কৃতির সাথে মিশে যেতে পারঙ্গম।

এর পাশাপাশি কারণটি হচ্ছে, ভারতীয়দের বড় অংশটি শ্বেতাঙ্গদের নিজেদের পরম মিত্র ভাবতে পছন্দ করে। যদিও ভারতীয় ভোট মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি, কিন্তু যে কয়টি অঙ্গরাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, সে সমস্ত রাজ্যে ভারতীয় আমেরিকানদের বড় অংশটি বাস করে। ফলে তাদের ভোট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে। যদিও কমলা কৃষ্ণাঙ্গ ভোট ব্যাংকের পাশাপাশি ভারতীয় আমেরিকানদের এ ভোট ব্যাংককেও এবার টার্গেট করতে চাইছেন।

তবে হিন্দুত্ববাদীদের বিপরীতে সবরকম ইসলামপন্থীদের ভোট কমলা হ্যারিসের ব্যালটেই যাবে বলে প্রত্যাশা ছিল। কারণ, বারাক ওবামার শাসনামলে ইসলামপন্থীরা আমেরিকার যে আনুকূল্য পেয়ে আসছিল ট্রাম্পের শাসনামলে তা খর্ব হয়। ইসলামপন্থী আরব আর দক্ষিণ এশীয়দের ভোটে ২০২০ সালে মিশিগান বা জর্জিয়ার মতো অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিলেন বাইডেন।

আরবদের মধ্যে সেবার তাঁর প্রতি সমর্থন ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে এবার কমলার জন্য এই ভোটব্যাংককে টার্গেট করা কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, বাইডেন প্রশাসনের আশকারা পেয়ে ইসরাইল ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালিয়ে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি মুসলমানকে হত্যা করেছে এখন পর্যন্ত। এমনকি সম্প্রতি লেবাননে আক্রমণ চালিয়ে কয়েক শ মানুষকে হত্যা করেছে, হত্যা করেছে হিযবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহকে। এসবের ফলে ইসলামপন্থীদের ভোট কমলার বাক্সে না পড়ারই সম্ভাবনা বেশি। তবে আবার এই কারণেই ট্রাম্পের চেয়ে কমলার পক্ষে আমেরিকান-ইহুদিদের সমর্থন বেশি।

যদি কমলা এবার জয়ী হতে পারেন তবে তার অন্যতম কারণ হবে, গাজা প্রশ্নে তাঁর গুণগত ভিন্ন অবস্থান। ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বাইডেন তার ইসরায়েল-তোষণ নীতির কারণে মুসলিম ও তরুণ ভোটারদের বিরোধিতার কারণে বেকায়দায় ছিলেন।সুবিধাজনক অবস্থানে চলে এসেছিলেন ট্রাম্প। তবে কমলা প্রার্থী হওয়ায় এখন উলটো ট্রাম্পই বেকায়দায় পড়েছেন। পিউ রিসার্চের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে কমলার পক্ষে আমেরিকান-ইহুদিদের সমর্থন বেশি। ওই জরিপ মতে, ৬৫ শতাংশ ইহুদি কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন। আর মাত্র ৩৪ শতাংশের সমর্থন ট্রাম্পের পক্ষে।

২০১৬ সালের নির্বাচনে মূলত শ্বেতাঙ্গদের ভোটেই নির্বাচিত হন ট্রাম্প। তবে এবার ডেমোক্র্যাটরা কমলাকে প্রার্থী করার পর থেকে বেশ ভুগতে হচ্ছে তাকে। এমনকি কিছুদিন আগে টেলিভিশন বিতর্কেও কমলা হ্যারিসের কাছে ধরাশয়ী হন। ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তীব্র সমালোচনা করতে পছন্দ করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে এবং এবারের প্রথমদিকে বাইডেনের সাথে কাজটি তিনি সফলভাবে করতে সক্ষম হলেও একই কৌশলে কমলার বিরুদ্ধে এখনও বলার মতো সফলতা পাননি। তবে প্রতিনিয়ত কৌশলে পরিবর্তন আনছেন তিনি, আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছেন। কিছুদিন আগে পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে কমলাকে ‘বামপন্থী’ ও ‘উন্মাদ’ বলে আক্রমণ করেছেন।

প্রার্থী হিসেবে কমলা একজন নারী ও কৃষ্ণকায়। এই সুবিধাটা ট্রাম্প নিতে চাইবেন। একজন অশ্বেতাঙ্গ নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে মেনে নেওয়াটা নেয়াটা মার্কিন সমাজের রক্ষণশীল এবং খ্রিস্টীয় মৌলবাদী অংশটি— যাদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে তারা পছন্দ করবে না। এই অংশটা ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকবে। ট্রাম্পও সেভাবেই ছক কষছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের মতো শ্বেতাঙ্গদের আবারও একবার একই ছাতার তলে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তিনি আমেরিকা বলতে কলম্বাসের আবিষ্কৃত সেই আমেরিকাকেই বুঝিয়ে যাচ্ছেন, যা শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যেরই নামান্তর। তবে কমলা ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। অভিজ্ঞতার কোনো কমতি তারও নেই। বিতর্কিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু সুবিধা তিনি পাবেন।

গত জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বন্দুকধারীর হামলার শিকার হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর দুই মাস পর আবারও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে এফবিআই। পর পর দুটি হামলার জন্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটদের বাকপটুতা ও মিথ্যাচারের ফলশ্রুতিতে (তার ওপর) গুলি চালানো হচ্ছে। এসব হামলার ঘটনা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় ট্রাম্পের পক্ষে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব রাজ্যের প্রধান প্রধান এলাকায় মাত্র কয়েক হাজার ভোট নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

বাস্তবতা হল বিভক্তির সূত্রকে মার্কিন সমাজে যথার্থভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন ট্রাম্প। সেই সূত্র প্রয়োগ করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এতসব অভিযোগ নিয়ে একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর দ্বিতীয় মেয়াদে জিতে আসার কথা না। তবে ট্রাম্পকে ঘিরে জয়ের স্বপ্ন দেখছে রিপাবলিকানরা। এর বড় কারণ হচ্ছে, মার্কিনিরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনো নারীকে দেখতে চান না এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে।

এর আগে সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করে বেশি ভোট পাওয়া সত্ত্বেও এই ট্রাম্পের নিকটই পরাজিত হয়েছিলেন প্রয়োজনীয় ইলেক্টোরাল ভোট না পাওয়ায়। তবে আমেরিকার নির্বাচন বলে কথা। কখন যে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা বলা কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের ট্রাম্পের প্রতি বিরাগকে কাজে লাগিয়ে কমলা হ্যারিস যদি জয়লাভ করে আসেন তাতেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

লেখক : কবি, কলামিস্ট।

এইচআর/এমএস