বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমির মু. সেলিম উদ্দিন।
Advertisement
তিনি বলেন, (চব্বিশের) শহীদরা আমাদের নতুন করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাদের জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে পুরো জাতিই গর্বিত। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আগস্ট বিপ্লবের শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। শাহাদাত আল্লাহর ফয়সালা ও মহাসম্মানের। আমাদের সন্তানরা জালিম শাসকের উৎখাত ও জুলুমের অবসানের জন্য হাসিমুখে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমাদের সন্তানরা বৈষম্যমুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, শহীদদের স্মরণে দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, হাসপাতাল, জনহিতকর ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা ও তাদের পরিবারসহ শহীদ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য সম্ভব সবকিছুই করা দরকার। প্রয়োজনে আহতদের দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ কাজে জামায়াত সবসময় তাদের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন আওয়ামী লীগই দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা চালু করেছে: শিবির সভাপতি এবার রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সারজিস আলমমহানগরী উত্তরের আমির বলেন, মূলত বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই ছাত্র-জনতা ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। কিন্তু এই আন্দোলন মোটেই নির্বিঘ্নে হয়নি, বরং শত-সহস্র প্রাণের বিনিময়ে এই আন্দোলন বিজয় লাভ করেছে। এই আন্দোলন দমাতে গিয়ে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছেন তাদের জন্য অবশ্যই শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে। খুনিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
জামায়াতকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে ৫ বছরের মধ্যেই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, সেই স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা আমির ডা. মু. শফিউর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগরী উত্তরের আমির। তিনি ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
Advertisement
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জোন পরিচালক জিয়াউল হাসান এবং মোহাম্মদপুর দক্ষিণ থানা আমির সাখাওয়াত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা নায়েবে আমির মাহাদী হাসান, সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, রুহুল আমীন, আশরাফুল আলম, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এএএম/কেএসআর/এএসএম