বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে হামলার হুমকি দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। কানপুর টেস্ট বানচাল করতে মিছিল ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছিল একদল কট্টরপন্হী। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি নিরাপত্তা রক্ষীবাহিনাীর কঠোর অবস্থানের কারণে।
Advertisement
এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঘিরে আরো কঠোর অবস্থানের জানান দিচ্ছে প্রশাসন। আগামী রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ঘিরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৭ অক্টোবর এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিত (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী, বিক্ষোভ মিছিলে নিষেধাজ্ঞা আরোাপ করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানিয়েছেন, কোনো জায়গায় পাঁচজনের বেশি একত্র হওয়া যাবে। বিস্ফোরণ দ্রব্য যেমন কেরোসিন, পেট্রোল ও অ্যাসিড বহন করা যাবে না। এমনকি আতশবাজী ফোটাবে পারবে না কেউ। ছুরি বা বর্শার মতো ধারালো অস্ত্র বহন করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা ধর্মীয় উস্কানি তৈরি করে, এমন অডিও-ভিডিও, ছবিসহ কোনো ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা এবং উত্তেজক বার্তা বহনকারী কিছু প্রচার করা যাবে না।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, গোয়ালিয়রে নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ-ভারতের এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হিসেবে অভিষেক হবে মধ্য প্রদেশের এই মাঠটির।
এর আগে ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠের ম্যাচ বাতিলেল দাবি জানিয়েছিল হিন্দু মহাসভার ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’ ও অন্যান্য সংগঠন। সে দাবির প্রেক্ষিতেই ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন। দুই দলের ক্রিকেটারদেরও হোটেলের বাইরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।
Advertisement
এমএইচ/এএসএম