আকাশপথে রপ্তানি সহজ করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত থার্ড টার্মিনালের কার্গো ভিলেজ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন পরিচালিত কৃষিপণ্যের কোল্ড স্টোরেজ এবং ঢাকা কাস্টমস হাউস পরিদর্শন করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইপিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষিপণ্য (শাক-সবজি ও ফলমূল) এবং জীবন্ত ও হিমায়িত মাছ রপ্তানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরের পর্যাপ্ত সেবা যথাযথ না থাকায় রপ্তানির কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি বিমানবন্দরে ব্যবহৃত চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানারের (ইডিএস) কার্যকারিতা, কার্গো ভিলেজের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য অপর্যাপ্ত স্পেসের বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং আকাশপথে রপ্তানি অব্যাহত রাখার স্বার্থে ইডিএস মেরামত করে সচল রাখার বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের প্রতিনিধিকে অনুরোধ জানান।
Advertisement
এছাড়া মো. আনোয়ার হোসেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ন্যায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরেও কার্গো সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়ে তাগিদ দেন। তিনি তৃতীয় টার্মিনালের কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনকালে পচনশীল এবং ফার্মাসিটিক্যালস পণ্য ট্রাক থেকে অফ-লোড করার পর বিমানবন্দরের কুলিং চেইনে স্থানান্তরের আগ পর্যন্ত পণ্যের গুণগতমান অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে কুলিং চেম্বার নিশ্চিত করার জন্য পরামর্শ দেন।
বিমানবন্দরের কার্গো ব্যবস্থাপনা সুবিধাদি পরিদর্শন শেষে ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভুঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালীন তিনি ইডিএস মেরামতসহ তা সচল রাখার বিষয়টি উল্লেখপূর্বক থার্ড টার্মিনালে পঁচনশীল এবং ফার্মাসিটিক্যালস পণ্য ট্রাক থেকে অফ-লোড করার পর কুলিং চেম্বার নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানান।
এমএমএ/এমএএইচ/
Advertisement