চট্টগ্রামে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের সার্ভার প্রায় সময় স্লো থাকে। এটা বড় একটা সমস্যা। আমরা এ সমস্যার কারণে একমিনিটও সময় নষ্ট হোক, তা চাই না। আমরা এতগুলো মানুষ যদি ফ্রিকুয়েন্টলি ফেসবুক চালাতে পারি, অ্যাসাইকুডাতে কেন সমস্যা হবে? বিশ্বের সব দেশে অটোমেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সার্ভারের সমস্যা রোধে আমরা যতদ্রুত সম্ভব ক্লাউডে চলে যাবো।’
Advertisement
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ সম্মেলনকক্ষে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। মতবিনিময়ে কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১৪টি দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের প্রফেশনাল হতে হবে। আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। আমরা যেহেতু ব্যবসায়ীদের সেবাপ্রদান করি, তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মী হতে পারি। আমরা দ্রুত তাদের সেবা দেবো এবং সেই সেবাটা হবে কোনোরকমের কোনো হয়রানি ছাড়া।’
ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ীদের সবগুলো দাবিই বিবেচনা করা হবে। যৌক্তিকভাবে আমরা সংস্কার করবো। এছাড়া পণ্যের এইচ এস কোডের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এটি নিয়ে আর যেন কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয়। আরেকটি বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৯৯৩ সাল থেকে অটোমেশন চালু হয়েছে। কিন্তু তা এখনও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। আমি জানতে চাই, এটা কবে পূর্ণাঙ্গ হবে? সবকাজ অটোমেশনে করার জন্য যা প্রয়োজন করেন, এটির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
Advertisement
এর আগে বুধবার সকালে বন্দর ভবনের সম্মেলন-কক্ষে বন্দরের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় রহমান খান বলেন, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের সার্ভারের সংকট নিরসন ও পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনে এনবিআর জোর দিচ্ছে। এ সিস্টেমে জালিয়াতি ও কারসাজির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা রোধ ও জালিয়াত চক্র চিহ্নিত করতে এনবিআর কাজ করছে। কোনো হয়রানি ছাড়া ব্যবসায়ীদের দ্রুত ও হয়রানিমুক্ত সিমলেস সেবা নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতেও হবে। আলোচনায় বন্দরের স্ক্যানার সংকট নিরসনে নতুন ৫টি স্ক্যানার দ্রুত স্থাপনের পাশাপাশি বন্দরের কনটেইনার জট নিরসনে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কাজ করছে।
এমডিআইএইচ/এমএএইচ/