দেশজুড়ে

পুলিশের হেফাজত থেকে পালালেন রোহিঙ্গা আসামি!

কক্সবাজার আদালতপাড়া থেকে পুলিশের হেফাজত থেকে এক আসামি কৌশলে পালিয়ে যাওয়া ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়া থানা পুলিশের হেফাজত থেকে ওই আসামি পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম আল-আমিন মামুন (৩২)। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ এর বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আল-আমিন অস্ত্র মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে, আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উখিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন। তার দাবি, কাউকে না বলে ওই আসামি ওয়াশরুমে চলে গিয়েছিলেন। তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

Advertisement

কিন্তু পালানোর অভিযোগ ওঠার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাকে আর আদালতে বা কোর্ট পুলিশকে কেন হস্তান্তর করা হয়নি বা একজন মানুষ কয় ঘণ্টা ওয়াশরুমে থাকেন—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি ওসি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বপালন করা এপিবিএন ও উখিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক ১২ আসামিকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে আদালতে তোলার জন্য আদালত চত্বরে গাড়ি থেকে নামার পর আল-আমিন কৌশলে পালিয়ে যান। বাকি ১১ জনকে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার (জিআরও) কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে।

উখিয়া আদালতের জিআরও হিসেবে দায়িত্বরত এএসআই মনির বলেন, আমার কাছে ১১ জন আসামমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি তাদের রিসিভ করেছি। তবে শুনতে পেয়েছি আরও একজন আসামি পালিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন জানান, দুপুরে আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে কাউকে না জানিয়ে ওয়াশরুমে যান আসামি আল-আমিন। সেটি না জেনে অন্যরা মনে করেছেন তিনি পালিয়ে গেছেন। তাকে এখন (সন্ধ্যা ৬টা) জিআরওর কাছে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

তবে জিআরও ওই আসামিকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পায়নি জানালে ওসি বলেন, জিআরওর সঙ্গে আমার টিমের কথা-কাটাকাটির জেরে আসামি রিসিভ করছেন না। এতক্ষণে আসামি পৌঁছানোর কথা।

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে ফোন করা হয়। তবে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/জিকেএস