তথ্যপ্রযুক্তি

স্যাটেলাইটে আয় কত? নাহিদের প্রশ্নে পরিচালক বললেন ‘খরচই বেশি’

‘বঙ্গবন্ধু-১’ নামে উৎক্ষেপণ করা দেশের প্রথম স্যাটেলাইটের আয়-ব্যয় কেমন, তার খোঁজ-খবর জানতে চেয়ে ‘হতাশাজনক’ জবাব পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

Advertisement

বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপদেষ্টা। তার প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মতবিনিময় সভার একপর্যায়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের প্রথম যে স্যাটেলাইট, তাতে যে ব্যয়; সে অনুযায়ী প্রাপ্তিটা কেমন?’ জবাবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জহিরুল ইসলাম উপদেষ্টাকে বলেন, ‘স্যাটেলাইটে খরচই বেশি হয়েছে। তাই প্রাপ্তি আশানুরূপ নয়।’

সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান তখন বলেন, ‘কোম্পানিটি গত পাঁচ বছর রিটার্ন জমা দেয়নি, যা এখন পরিশোধ করতে হলে মোটা অংকের টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

Advertisement

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে বোর্ড সদস্যদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি বিগত সময়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কাজ করেছে কি না তা খুঁজে বের করে সুপারিশ করবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মতবিনিময় সভায় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম। তিনি বেতবুনিয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়া এবং যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান সব দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যার কারণে কোম্পানি অনেক পিছিয়ে গেছে। আমরা সেই সময়ের সব বিষয় পর্যালোচনা করছি। তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে কাজ করা হবে।’

পরে উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানটির মনিটরিং সেন্টার, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি), টেলি মেডিসিন এবং ই-লার্নিং সিস্টেমের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এএএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস