আন্তর্জাতিক

জিবুতি উপকূলে নৌকা ডুবে ৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত, নিখোঁজ ৬১

জিবুতি উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশী বোঝাই দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ৬১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। নৌকাগুলো ইয়েমেন থেকে ৩১০ জন যাত্রী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সেগুলো জিবুতি উপকূলে লোহিত সাগরে ডুবে যায়।

Advertisement

জিবুতির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এখনো ৬১ জনের খোঁজ মেলেনি। তাদের উদ্ধারে ‘নিরলস তল্লাশি অভিযান’ চলছে।

আরও পড়ুন>>

গ্রিসের কাছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৪ ভূমধ্যসাগরে বিপদে পড়া ১২৯ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা

কোস্টগার্ডের ভাষ্যমতে, নৌকাগুলো জিবুতির উত্তর-পশ্চিম খোর আঙ্গার অঞ্চলের কাছাকাছি, উপকূল থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে ডুবে যায়। এরই মধ্যে ১১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইওএম সমর্থিত একটি বড় পরিসরের উদ্ধার অভিযান চলছে।

Advertisement

আইওএম এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে এবং জীবিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

লোহিত সাগরের এ রুটটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত হয়। সেখানে বহু আফ্রিকান অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী প্রতিনিয়ত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। প্রতি বছর এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সংঘাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচতে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর দিকে পাড়ি জমায়।

এর আগে, চলতি বছরের জুন মাসে ইয়েমেন উপকূলে গালফ অফ এডেনে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৫৬ জন সোমালি ও ইথিওপিয়ান অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত এবং ১৪০ জনেরও বেশি নিখোঁজ হন। ওই দুর্ঘটনায় ৩১ জন নারী ও ছয় শিশুর মৃত্যু ঘটে।

আইওএমের তথ্যমতে, ২০২২ সালে হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চল থেকে প্রায় ৭৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইয়েমেনে পৌঁছেছিলেন, যা ২০২৩ সালে বেড়ে ৯৭ হাজার ২০০ জনে পৌঁছায়। তাদের অধিকাংশই চোরাকারবারিদের ওপর নির্ভর করেন, যারা প্রায়ই বিপজ্জনক ও অত্যধিক ভিড় থাকা নৌকায় তাদের পারাপার করায়।

Advertisement

সূত্র: বিবিসিকেএএ/