দেশজুড়ে

চার মাসেই নষ্ট ২৬ লাখ টাকার ‘টাইম ওয়াচ’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ৮০ শতাংশ রাস্তাঘাটই ভাঙাচোরা। এ অবস্থায় শহরের কুমারশীল মোড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কে ‘টাইম ওয়াচ’ নাম দিয়ে স্তম্ভ আকারে স্থাপন করা হয় তিনটি ডিজিটাল ঘড়ি। এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৬ লাখ টাকা।

Advertisement

এই স্তম্ভ ও ঘড়ি স্থাপনের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা। সেই আলোচিত ঘড়ি উদ্বোধনের পর থেকেই নষ্ট হয়ে আছে। একেক ঘড়িতে একেক সময় দেখাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। বলতে গেলে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই পৌরবাসীর। এসব সড়ক সংস্কারে গুরুত্ব না দিয়ে শহরের প্রধান সড়কের কুমারশীল মোড়ে স্তম্ভ আকারে ডিজিটাল ঘড়ি স্থাপনের উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৯ টাকায় এর কাজ পায় মেসার্স শিপু কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভা বুঝে পায় চার মাস আগে। তবে ঘড়িস্তম্ভ নির্মাণের নামে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রথম দিক থেকেই স্তম্ভে স্থাপিত তিনটি ঘড়িতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন সময়।

আজিজুর রহমান নামের একজন পথচারী বলেন, ‘শহরে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করি। বছরখানেক আগে দেখি খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। জিজ্ঞেস করে জানলাম এখানে স্তম্ভ হবে। কিন্তু পরে দেখি ডিজিটাল ঘড়ি লাগানো হলো। আকর্ষণীয়তো কিছু হলো না। রাস্তাঘাট না করে এভাবে পৌর নাগরিকদের টাকা অপচয়ের কোনো মানে হয় না।’

Advertisement

ফারুক মিয়া নামের আরেকজন বলেন, ‘প্রতিদিনই দেখি ঘড়িগুলোর ছবি ফেসবুকে দিয়ে মানুষ গালাগাল করে। এগুলো নির্মাণে অবশ্যই লুটপাট করা হয়েছে। এত টাকা খরচ হওয়ার কথা না।’

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক (উপসচিব) রুহুল আমিন বলেন, ‘টাইম ওয়াচ’ তৈরিতে অনিয়ম হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে। ঠিকাদারের জামানত পৌরসভায় যদি থাকে, তাহলে ঘড়ি মেরামত করা হবে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম

Advertisement