গণমাধ্যম

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সীমান্ত খোকনের জানাজা

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দসহ পরিবারের সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন।

জানাজার আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, গতকাল যখন আমরা রুহুল আমিন গাজী ভাইয়ের স্মরণসভায় ছিলাম আমরা, তখন তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি, এত অকালমৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এত কর্তব্যনিষ্ঠ, অমায়িক, বন্ধুবৎসল, দায়িত্বশীল তরুণ সাংবাদিককে আমরা হারিয়েছি। তার মৃত্যুর বয়সও হয়নি। সুতরাং আমাদের মধ্যে তার স্মৃতি জাগরূক থাকবে। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্ত খোকন এনটিভি পরিবারের সদস্য ছিলেন। আমরা আমাদের পরিবারের সদস্য হারিয়েছি। উনি আর ফিরে আসবেন না। তবুও বলতে হয় সীমান্ত খোকন সবসময় এনটিভিতে থাকবেন; আমাদের মাঝেই থাকবেন।

Advertisement

সীমান্ত খোকনের ছেলে বলেন, বাবার কাছে প্রেস ক্লাব ছিল সেকেন্ড হোম। তিনি প্রেস ক্লাবকে ভালোবাসতেন, প্রেস ক্লাবের মানুষকে ভালোবাসতেন। দীর্ঘ সময় তিনি আপনাদের সঙ্গে ছিলেন। আমার বাবা সত্যিই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তবুও বলবো তার যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

জানাজা শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সীমান্ত খোকনের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সীমান্ত খোকনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সীমান্ত খোকনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

সীমান্ত খোকন জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন। ছিলেন কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। একসময় বিনোদন সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

Advertisement

এনএস/বিএ/জিকেএস