ক্রীড়া সৃষ্টি করে বন্ধুত্ব, ক্রীড়া তৈরি করে একতা, ক্রীড়া নিশ্চিত করে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা। ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল বিশ্বাস করে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি ক্রীড়া মনস্ক মানবিক মানসিকতা সৃষ্টিও অতীব জরুরি। আর তাই ‘সবার জন্য ক্রীড়া আর বিজয়ীও সবাই’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে সুস্থ বিনোদন খেলাধুলার জন্য বাংলা স্কুলের বার্ষিক কার্য তালিকায় একটি দিন স্বভাবতই ধার্য করা আছে।
Advertisement
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার ক্যাম্পবেলটাউন বাংলা স্কুল প্রাঙ্গণে এই বহু প্রতিক্ষীত ক্রীড়া উৎসবের আসর বসে। সকাল দশটায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার ভূমি সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতঞ্জতা জানিয়ে এই আয়োজনের সূচনা করেন স্কুলের সাধারণ সম্পাদক রাফায়েল রোজারিও। সাধারণ দৌড়, মার্বেল ও চামচ দৌড়, এক পায়ে দৌড়, সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা, বল কিকিং, বাস্কেট বলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় খেলায় ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করে। অভিভাবক ও কার্যকরী কমিটির সদস্যরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ক্রীড়া উৎসবে যোগদান করেন।
খেলার মাঠে উচ্ছসিত দর্শকসারি
বার্ষিক এই ক্রীড়া উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের দুজন ছাত্রীর মাতামহ আয়শা খানম ও ফেরদৌসি বেগম। ক্রীড়া সম্পাদক সুমিত রায়ের তত্ত্বাবধায়নে এবারের ক্রীড়া উৎসব পরিচালনা করেন স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইয়াকুব আলি।
Advertisement
সবার জন্য ক্রীড়া আর বিজয়ীও সবাই
অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পুরো আয়োজনজুড়ে সহায়তায় ছিলেন শ্রেণি শিক্ষক শায়লা ইয়াসমীন নুসরাত, অনিতা মন্ডল, বিশাখা পাল, নুসরাত মৌরি, অনিতা বিশ্বাস মীরা ও সায়মা হক। খেলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন শরিফ, মইন, রিজভি, তমাল, সম্রাট, অপূর্ব, মিতু, লিন্ডা, টপি, লুৎফা, সিলভিয়া, ম্যাগডালিনা, নূরীণ প্রমুখ।
চলছে মার্বেল ও চামচ দৌড়ের প্রস্তুতি
আপ্যায়নে ছিলেন নুরুল ইসলাম শাহিন, ফায়সাল খালিদ শুভ, মসিউল আজম খান স্বপন, কাজী আশফাক, আজিজুর রহমান, মুস্তফা হাসান জিশান, রঞ্জন দাস, ফেরদৌস খান। দুপুর আড়াইটায় সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীতে আরও আকর্ষণীয় ক্রীড়া উৎসব আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলা স্কুল সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাংলা ভাষাভাষী জন্য উন্মুক্ত থাকে।
এমআরএম/জিকেএস