সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
সাগর-রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিগত সরকারের সময়ে কোনো চাপ ছিল কি না, এ মামলা তদন্তে র্যাব ব্যর্থ কি না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় র্যাব মুখপাত্রের। তবে বিষয়টি সরাসরি খোলাসা করেননি র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চান।
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত করতে র্যাব ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, তদন্ত আরও বেগবান করার জন্য হাইকোর্ট মনে করেছেন আরও অভিজ্ঞ লোক দরকার। যারা এ ধরনের কাজে পারদর্শী তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে। এতে যদি র্যাবের কোনো সহায়তা লাগে আমরা যে কোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।
Advertisement
আরও পড়ুন
ইমিগ্রেশনে পার হননি, অবৈধ পথে ভারতে পালিয়েছেন আসাদুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ গ্রেফতার ৩সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিগত সরকারের কোনো চাপ ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, তদন্তের জন্য আরও অভিজ্ঞদের দিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যাননিএক প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কর্মবিরতিতে গেলেও কোনো র্যাব সদস্য কর্মবিরতিতে যাননি। কোনো র্যাব সদস্য পালিয়েও যাননি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে শুধুমাত্র টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকেও বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
Advertisement
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি। যদি আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে কোনো অভিযোগ থাকে তবে আমরা তা খতিয়ে দেখবো।
টিটি/কেএসআর/এমএস