ধর্ম

শুভ মহালয়া আজ

শুভ মহালয়া আজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরুর প্রাক্কালে এদিনে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যালোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। মূলত এদিন থেকে শুরু দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনা।

Advertisement

বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া মহালয়ার অনুষ্ঠান করেছে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির, শ্রী রমনা কালীমন্দির ও শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রম, শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা কমিটি, ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি, উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।

শারদীয় দুর্গাপূজার গুরুত্বপর্ণ একটি অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পুরাণ মতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

দুর্গাপূজায় ৬ দিন বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দর দুর্গাপূজায় গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত আসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।

মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে, এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে, এই দিনে প্রয়াতদের আত্মা মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াতদের আত্মার এই সমাবেশকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষেরও শেষদিন এটি।

কেএসআর/এমএস

Advertisement