আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়নে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের নিয়ে কমিশন ও কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। এছাড়াও আরও নয়টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
Advertisement
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাদরাসা শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব দাবি জানানো হয়।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবদুছ ছবুর মাতুব্বর।
তিনি বলেন, আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়নে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের নিয়ে কমিশন ও কমিটি গঠন করতে হবে। আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিস, উইং-মাদরাসা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদরাসা উইং আরবি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শাখায় মাদরাসায় শিক্ষিতদের নিয়োগ-পদায়ন করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু; সরকারি তদারকি নিশ্চিত করতে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত ডিইটিইও নিয়োগ; ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপনের বন্ধ পথ খুলে দেওয়া এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে জাতীয়করণের দাবি জানান তিনি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আলিয়া মাদরাসার উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি অনীহা দূর করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং করতে হবে। ছাত্র শিক্ষার্থীদের উৎসাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে এবং আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ রাষ্ট্রীয় আচরণ বন্ধ করতে হবে।
আবদুছ ছবুর মাতুব্বর বলেন, আলিয়া মাদরাসা শিক্ষায় যুগোপযোগী আলেম তৈরি হচ্ছে না। এর পেছনে তিনটি প্রধান কারণ হচ্ছে- অতিরিক্ত সিলেবাস-কারিকুলাম, অভিভাবকদের সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মাদরাসায় না পড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং আলিয়া মাদরাসায় যোগ্য শিক্ষকের অভাব। এসবের ফলে আলিয়া মাদরাসার শিক্ষা তার স্বকীয়তা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গেছে। শিক্ষার্থীর সংকট, পরিবেশ সংকট, অবকাঠামগত সংকট, ব্যবস্থাপনা সংকট গোটা আলিয়া মাদরাসার শিক্ষাকে পঙ্গু করে ফেলেছে।
বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শামছুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম আব্দুল কাদের।
আরএএস/ইএ/জিকেএস
Advertisement