দেশজুড়ে

আবুধাবিতে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে মহিন উদ্দিন লিটন (৪২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নে।

Advertisement

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় আবুধাবিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির আল-খাতাম নামকস্থানে কর্মস্থলের পাশে লিটনকে কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

নিহত মহিন উদ্দিন লিটন সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শ্যামেরগাঁও গ্রামের মো. আবদুস ছালামের ছেলে। বাড়িতে তার স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলে ও মা-ভাইয়েরা রয়েছেন।

নিহতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রিমন বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে সাড়ে তিন বছর আগে আমার বাবা ভিজিট ভিসায় দুবাই গিয়ে কাজ শুরু করেন। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনি শহরের বাইরে মাজরায় (কৃষি খামার) কাজ করতেন। শুক্রবার বিকেলে কে বা কারা আমার বাবাকে কুপিয়ে ফেলে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে শনিবার সকালে মারা যান তিনি। আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই।

Advertisement

নিহতের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৩৫) জাগো নিউজকে বলেন, শুক্রবারের পর থেকে আমার স্বামীর খোঁজখবর পাচ্ছিলাম না। মোবাইলও বন্ধ। পরে সেখানে অবস্থান করা আমার ভাই জাহিদুল ইসলাম টিটুকে খবর নিতে বলি। তিনি গিয়ে জানতে পারেন দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এখন আমি অবুঝ শিশুদের নিয়ে কোথায় যাবো, কীভাবে বিচার পাবো। আমার স্বামীর লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা চাই।

বিজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজাল জাগো নিউজকে বলেন, মহিন উদ্দিন লিটন ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমরা সবাই তার অসহায় পরিবারের পাশে আছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতায় তার মরদেহ দেশে আনার দাবি জানাই।

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি এখনো কেউ আমাদের জানায়নি। তবে আমরা দেশে এবং বিদেশে খোঁজ নিয়ে মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ/জিকেএস

Advertisement