খেলাধুলা

একদিনে ১৮ উইকেটের পতন, ম্যাচ বাঁচাতে পারবে বাংলাদেশ?

বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় আর তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে খেলাই হয়নি। চতুর্থ দিনে এসে দুই দলের মিলিয়ে পড়লো ১৮ উইকেট!

Advertisement

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট হওয়ার পর ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড পায় রোহিত শর্মার দল।

জবাবে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৬ রান। সাদমান ইসলাম ৭ আর মুমিনুল হক ০ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ২৬ রানে।

ফলে কানপুর টেস্টের রোমাঞ্চ এখনও বাতাসে মিলিয়ে যায়নি। পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ কতদূর এগোতে পারে, তার ওপরই নির্ভর করছে টাইগাররা এই ম্যাচ বাঁচাতে পারবে কিনা।

Advertisement

এই টেস্টে ফল আনতে রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত। টেস্টে তারা ব্যাটিং করেছেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। ৩০.১ ওভারে ২৫০, ২৪.২ ওভারে ২০০। এভাবেই কানপুর টেস্টে বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধুনো করে দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০ রানের বিশ্বরেকর্ডও গড়েছে রোহিত শর্মার দল।

কানপুরে যেন রানের বন্যা বইয়ে দিতে নেমেছে ভারত। ৩ ওভারে দলীয় ফিফটি করে ভারত। যা এর আগে আর কোনো দল করতে পারেনি। গেল জুলাইয়ে ট্রেন্ট ব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪.২ ওভারে ৫০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।

এরপর ১০.১ ওভারেই ১০০ রানের কোটা পার করে দ্বিতীয় বিশ্বরেকর্ড করেছে ভারত। টেস্টে ৬১ বলে আর কোনো দল ১০০ রান করতে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতেরই। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২.২ ওভারের ১০০ করেছিল ম্যান ইন ব্লুজরা।

ভারতের নতুন রেকর্ডে মূল অবদান রেখেছেন যসস্বি জয়সওয়াল। ৩১ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে তিনিও করেছেন দারুণ এক রেকর্ড। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেছেন জয়সওয়াল।

Advertisement

চা-বিরতির আগে মারকুটে জয়সওয়ালকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। টাইগার পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭২ রান করে ফেলেন ভারতীয় ওপেনার। খেলেন মাত্র ৫১ বল। ১৬ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেটে ১৩৮ রান করে চা-বিরতিতে যায় ভারত।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে শুরুতে উইলোবাজিতে মেতে ওঠেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও জয়সওয়াল। চতুর্থ ওভারে উড়তে থাকা রোহিতকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ বল পায়ে লাগলে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান রোহিত। কিন্তু পরের বলে তাকে বোল্ডই করে দিলেন মিরাজ। ১১ বলে ২৩ রান করেন ভারতীয় ওপেনার।

ভারতীয়রা দ্রুত রান তুলতে চাইলে টানা দুই ওভারে দুই শিকার করেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই স্পিনার ভারতীয় ইনিংসের ১৮তম ওভারে শুভমান গিল আর ২০তম ওভারে রিশাভ পান্তকে তুলে নেন। দুজনই আগ্রাসী খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। শুভমান ৩৯ আর পান্ত করেন ৯ রান। ১৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত।

পঞ্চম উইকেটে বিরাট কোহলি আর রিশাভ পান্ত ৫৯ বলে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন সাকিব আল হাসান, বিরাট কোহলিকে বোল্ড করেন। ৩৫ বলে ৪৭ করেন কোহলি।

সাকিব আর মিরাজ মিলে ৩৯ রানের মধ্যে ভারতের ৫টি উইকেট তুলে নেন। লোকেশ রাহুল ৪৩ বলে ৬৮ করে স্টাম্পিং হন মিরাজের বলে।

সাকিব ৭৮ রানে আর মিরাজ ৪১ রান খরচায় নেন ৪টি করে উইকেট। ৬৬ রানে একটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।

এমএমআর/এএসএম