জাগো জবস

সফলতা অনেক কঠিনতম কাজ : মেহেদী শামীম

মেহেদী শামীম মফস্বলের স্কুল-কলেজ শেষে এখন মাস্টার্স পড়ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে। নিজের মেধার সবটুকু বিনিয়োগ করেছেন রেডিও প্রফেশনে। তার ক্যারিয়ার শুরু স্কুল জীবনে। ইউনিসেফের প্রজেক্ট এমএমসি’র ‘চাইল্ড এক্সপ্রেস’ নিউজ এজেন্সিতে কাজের মধ্য দিয়ে। তারপর থিয়েটার, আবৃত্তি, বিতর্ক, চলচ্চিত্র-আন্দোলন, দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন এবং বড় একটা সময় জুড়ে সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রোগ্রাম প্রডিউসার ও কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারের অপেক্ষায় থাকা প্রাইভেট রেডিও স্টেশন স্পাইস এফএম-এ। মেহেদী শামীম অলস সময় পেলেই বসে যান লেখার টেবিলে। তিনি ছোট গল্পের জন্য ‘সুনীল সাহিত্য পুরস্কার ২০১১’ পেয়েছেন। ২০১৪ সালে ত্রয়ী প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে কবিতার বই ‘বোধের ব্রেকিং নিউজ’ এবং ২০১৫-তে একটি রাজনৈতিক উপন্যাস সম্পাদনা করেছেন। তার ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে জাগো জবসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন গোলাম রাব্বী।জাগো জবস : পড়াশোনা চলাকালীন কিছু স্মৃতির কথা বলুন-মেহেদী শামীম : স্কুল-কলেজ খুব ইভেন্টফুল ছিলো। একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনারে বসে কবিতা পড়া, স্বাধীনতা দিবসে মঞ্চ নাটক করা, এককথায় প্রতিটা দিবসে কিছু না কিছু করা। পাঠ্য বইয়ের চাইতে সাতগুণ বেশি (আম্মুর মতে) অন্যান্য বই পড়তাম। যেহেতু স্কুল থেকেই সাংবাদিক ছিলাম, পড়াশোনা ছাড়া মোটামুটি অন্য সব সামাজিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত নিবিড়ভাবে করে যেতাম। তবে স্কুল কলেজই আমাকে অনেকটা চিন্তাশীল করে তুলেছে। কলেজ শেষ করে ঢাকায় আসা এবং জাবিতে ভর্তি হওয়া; আবার এখানেও সেই পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো না কোনো কাজে লেগেই ছিলাম। একাডেমিক পড়াশোনার প্রসঙ্গ আসলে, আমি একজন বড় মাপের ‘ফাঁকিবাজ’। একবার কলেজ পরীক্ষায়, ‘বিজ্ঞানের জয়যাত্রা’ রচনা শুরু করেছিলাম, ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দিবো মেপে’ ছড়াটা দিয়ে। পরের অংশ না পরেই স্যার আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলো টিচার-লাউঞ্জে; কিন্তু যখন আমি পরের অংশ পড়লাম...‘বিজ্ঞানের এই বিস্ময়কর যুগে আমরা কেন প্রকৃতির কাছে প্রার্থনা করবো বৃষ্টির জন্য... আমরা চাইলেই তো যেখানে-সেখানে বৃষ্টি নামাতে পারি…।’ এমন দুষ্টুমিতে ভরা ছিলো আমার পড়াশোনার জীবন।জাগো জবস : আপনার কাজ শুরুর অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন-মেহেদী শামীম : কাজের শুরু পত্রিকা দিয়ে। শিশু সাংবাদিকতা নয়; এখানে উল্লেখ করবো একটা স্থানীয় দৈনিকের কথা- ‘বিশ্লেষণ’। ওখানে বার্তা সম্পাদক হিসেবে আমি মেইনস্ট্রিম সাংবাদিকতা শুরু করি। কোথাও অবৈধভাবে গাছ কেটে ফেললে, ওই গাছ হত্যার জন্য নিউজ করতাম। ওই বয়সে যতটা সাহসী ছিলাম, মনে হচ্ছে- দিন যাচ্ছে আর সাহস কমে যাচ্ছে, সহনশীলতা বেড়ে যাচ্ছে। তখনকার মেয়রের নানান অবৈধ কাজ নিয়ে ফিচার করা শুরু করেছিলাম। কলেজে পড়ার সময়ে হুট করে একটা হয়রানিমূলক ১ কোটি টাকার মানহানি মামলাও করেছিলো তখনকার মেয়র। যদিও ওই মামলায় কিছুই হয়নি। তবুও সাংবাদিকতার গতি কমে গিয়েছিলো অনেকটা। পত্রিকায় সত্য প্রকাশ করলে আমাকে বেয়াদব বলা হতো (কারণ আমি বয়সে ছোট)। আমার প্রতিকূলতা ছিলো আমার বয়স। কিন্তু এখন বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে অন্য প্রতিকূলতার বংশবিস্তার হচ্ছে।জাগো জবস : মিডিয়ার আগে অন্য কোনো চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন?মেহেদী শামীম : না; এখনো পর্যন্ত মিডিয়ার সাথেই আছি। মাঝখানে আইএএফএম নামে একটা একাডেমির চিফ কো-অর্ডিনেটর ছিলাম। ওইখানেও মিডিয়া বিষয়ক কাজই করা হয়েছে। মিডিয়া প্রফেশনটা মানুষকে জাদু করে ফেলে। অর্থনৈতিক ভালো সাপোর্ট না পেয়েও এই পেশার মধ্যে ডুবে থাকে মানুষ। আমার ক্ষেত্রেও তাই; অনেকবার ছাড়তে গিয়ে আরো বেশি ঝাপটে ধরেছি।জাগো জবস : কার অনুপ্রেরণায় পেশাটিকে ভালোবেসে ফেললেন?মেহেদী শামীম : আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা সফলতা। একটা কাজ করার পরে ওই কাজের সফলতাই আমাকে পরের কাজটা করতে অনুপ্রাণিত করেছে। তবে আমি আমার জীবনে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। যারা আমাকে উৎসাহ দিয়েছে তাদের তালিকা অনেক লম্বা। আর রেডিও প্রসঙ্গ আসলে বলবো, রেডিও এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সবকিছু করা যায়, কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। রেডিও এর একটা আলাদা শক্তি আছে, একটা মাদকতা আছে, আমি ওই নেশায় হুট করেই ডুবে গেছি। এককথায়- লাখো মানুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার নাম-ই রেডিও।জাগো জবস : প্রোগ্রাম প্রেজেন্টেশন ছাড়া আর কী কী করতে হয়?মেহেদী শামীম : আসলে রেডিও অফিস খুব ছোট্ট জায়গা। একটা ছোট্ট পরিবারের মতো। আমি কাজ করছি প্রোগাম প্রোডিউসার ও কো-অর্ডিনেটর হিসেবে, কিন্তু আমাকে মাল্টিটাসকার হতে হয়। প্রোগাম ডিজাইন, মিউজিক রিসার্চ, প্লে-লিস্ট তৈরি করা, পাবলিক রিলেশন ম্যানেজ করা, রেডিও কনটেন্ট রিসার্চ করা- এমন অনেক ধরনের কাজ করতে হয়। রেডিও প্রফেশনে এসে শুধু রিপোর্টিং-প্রেজেন্টেশন করলেই হয় না। প্রত্যেকেরই অন্যান্য কাজেও অংশগ্রহণ করতে হয়।জাগো জবস : কীভাবে একটা ভিন্ন ও আধুনিক প্রফেশনে যুক্ত হলেন?মেহেদী শামীম : রেডিও প্রফেশনটা অতটাই আধুনিক, যতটা পুরনো। বাংলাদেশে প্রথম রেডিও যাত্রা শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খবর জনগণকে অবহিত করার জন্য। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ঢাকায় একটি মিডিয়ামওয়েভ স্টেশন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৩৯ সালে ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ ৫৮ বছর আগে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের একটি দোতলা বাড়িতে ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও, ঢাকা কেন্দ্র’ চালু হয়। তারপর থেকে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অনেক রেডিও কাজ করছে বাংলাদেশে। এই সেক্টরে সম্ভাবনা অনেক বেশি, সীমাবদ্ধতা কম। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। ওই সুযোগটাই এই প্রফেশনে কাজ করার জন্য আমাকে টেনে এনেছে।জাগো জবস : এ বিষয়ে আপনার কি কোনো প্রশিক্ষণ রয়েছে?মেহেদী শামীম : রেডিও প্রফেশন অনেক দক্ষতার সম্মিলিত প্রয়াস। এখানে কাজ করতে এসে আমি থিয়েটার, আবৃত্তি, লেখালিখি ও সাংবাদিকতার সব অভিজ্ঞতাই পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছি। রেডিও মূলত কাজ করে মানুষের প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠার জন্য। প্রতিদিন মানুষের প্রয়োজনগুলোকে মাথায় রেখে প্রোগ্রাম সাজানো হয়। মিউজিকের সুরে-বিটে মানুষকে ফুরফুরে রাখার জন্য, মানুষের কষ্টগুলোকে হালকা করে দেয়ার জন্য-ই রেডিও কাজ করে। মোদ্দাকথা, রেডিও মানুষের ভালো সঙ্গী হয়ে থাকে। আর এই সঙ্গী হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের দরকার হয় না- এটা মূলত জীবন-যাপন, বইপড়া, অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ এবং একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যে বেড়ে ওঠার উপরে নির্ভর করে। হিউমার হলো রেডিও’র প্রধান মেডিসিন।জাগো জবস : নিজের অতীত-বর্তমান এবং ফ্যানদের কমিউনিকেশন্স কেমন উপভোগ করছেন?মেহেদী শামীম : ছোটবেলা থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ব্যস্ততা শুরু হয়। পড়াশোনা-অফিস করতে করতে সারাদিন শেষে ঘুমের শহরে। আমি একটু ঘুমপ্রিয় মানুষ, আমার সবচেয়ে বড় ত্যাগ হলো ঘুম। কিন্তু যেকোনো গণমাধ্যমে কাজ করা মানে ঘুম হত্যা করা; কারণ- আমাদের ২৪ ঘণ্টা রোস্টারে কাজ করতে হয়। যদি বড় দাগে পার্থক্য’র কথা বলি তবে বলবো, এই পেশায় উত্থান-পতন অনেক দ্রুত ঘটে, যেটা অন্য পেশায় অতটা হয় না। আসলে এই সময়ে ফ্যান ব্যাপারটা একটু অন্যরকম; আগে মানুষ সিনেমায় অভিনয় করতে চাইতো- এখন মানুষ সিনেমা বানাতে চায়। ফ্যানদের কমিউনিকেশন্সের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ আমার কাজটা করতে চায়। তারা সুযোগ চায়। আবার অন্য দিকে, আমরা রেডিও’র পক্ষ থেকে মরিয়া হয়ে খুঁজে-ফিরি একটা ভালো আরজে। কিন্তু পাই না। মূল সমস্যা হলো আমরা আরজেদের শুনি না, কিন্তু আরজে হতে চাই।জাগো জবস : আপনার প্রফেশনে সুযোগ-সুবিধা কেমন?মেহেদী শামীম : প্রথমত বলবো এখনো অনেক মানুষ মনে করে আরজে কোন প্রফেশন না। পার্ট টাইম চাকরি। আই লাভ টু টক আর তাই আমি আরজে হতে চাই এবং রেডিওতে আরজে ছাড়াও আরো অনেক জায়গা আছে কাজ করার। কিন্তু অন্য পদগুলো অতোটা ভালোভাবে মানুষ নিচ্ছে না। তাই ভালো রেডিও স্টেশনও দাঁড়াচ্ছে না। আবার দক্ষ জনশক্তিও তৈরি হচ্ছে না। দুটোরই সংকট দেখা দিচ্ছে। এই প্রফেশনে সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার সুযোগ আছে। নিজের সুযোগ-সুবিধা নিজেই তৈরি করা যায়। আপনি কতটা ক্রিয়েটিভ, রেডিও প্রফেশন নিয়ে কতদূর যেতে চান- এই বিষয়টার উপর অনেকটা নির্ভর করছে সুযোগ-সুবিধা।দ্বিতীয়ত একটু খোলামেলাই বলি; মিডিয়াতে কিছু কমন সমস্যা থাকে। এখানে সিনিয়ররা জুনিয়রদের যেমন ঠকায়, তেমনি সিনিয়রদের সাথে জুনিয়ররা আবার বেঈমানিও করে। শুরুর দিকে মিডিয়াতে কাজ করতে এলে কিছু কমন প্রতিকূলতার মুখোমুখি সবারই হতে হয়। যারা এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে, তারাই সফল হয়। আর মিডিয়াতে সফলতা মানেই রঙিন জীবন।জাগো জবস : যারা রেডিওতে কাজ করতে চান, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?মেহেদী শামীম : আমি পরামর্শ দিবো না, কিছু ছোট ছোট বাক্যে সোজাসাপ্টা কথা বলতে চাই- রেডিও একটা প্রফেশনাল জায়গা, এখানে কাজ করতে চাইলে স্থায়ীভাবে কাজের লক্ষ্য নিয়ে আসেন, আপনি যা হতে চান, সে পদে কী কী কাজ করতে হয়- সেগুলো ভালো করে জেনে নিন, আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, গুগল ও ইউটিউব আছে তাদের কাছে প্রশ্ন করুন, দেখবেন সবকিছুরই উত্তর দিয়ে দেবে। আর রেডিওতে কাজ করতে চাইলে প্রচুর মিউজিক শুনুন, কারণ রেডিও’র ব্লাড হলো মিউজিক, প্রচুর বই পড়েন, বাংলা-ইংরেজি দুটি ভাষায় দক্ষতা বাড়ান, মানুষের ভালো বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন এবং একইসাথে কথার মধ্যে প্রচুর হিউমার রাখার চেষ্টা করুন। এই বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলেই মোটামুটি রেডিও প্রফেশনে কাজ করা যায়। জাগো জবস : অনেকেই একটা কোর্স বা সামান্য উপস্থাপনা শিখেই কাজ করা শুরু করেন- এ বিষয়টাকে আপনি কীভাবে দেখেন?মেহেদী শামীম : আমি বলবো অন্য কথা, যারা ছোট্ট প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকেই দক্ষ, আবার অনেকে আছেন মিডিয়াতে অনার্স-মাস্টার্স করেও ভালো কাজ করতে পারছেন না। তবে হ্যাঁ, মিডিয়াতে দক্ষ মানুষের খুব অভাব। এখানে সম্ভাবনাও অনেক রয়েছে, কারণ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিডিয়া, ফিল্ম, টিভি’র প্রোডাকশন বেইজড বিভাগ খোলা হচ্ছে এবং অনেকগুলো একাডেমিও মিডিয়াতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি মিডিয়া হাউজগুলো ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থাও করছে। বর্তমান তরুণদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে দক্ষ হয়ে ওঠার।জাগো জবস : আপনার প্রকাশিত বই এবং লেখালেখি নিয়ে আপনার ভাবনা-মেহেদী শামীম : আমি ছোটবেলা থেকেই একজন লেখক হতে চেয়েছি। সিরিয়াস লেখক। কিন্তু সমস্ত পৃথিবী এখন একসাথে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ব্যস্ততার সাথে যুদ্ধ করে করে পরাজিত হয়ে যাই। কখনো-কখনো সব ছেড়েছুড়ে বসে যাই লেখার টেবিলে। লিখে ফেলি কিছু একটা, আর ওগুলোই আমার নিজস্ব সম্পদ। ২০১৪ সালে প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয়, তারপরে একটা রাজনৈতিক উপন্যাস সম্পাদনা করি ২০১৫ সালে। ‘মিছিল’ নামে একটা মিনিম্যাগ’র সম্পাদনা করতাম- ওইটাও বন্ধ করে দিয়েছি। তবে লেখা নিয়ে কিছু পরিকল্পনা আছে। ছোটগল্প নিয়ে কিছু কাজ করার ইচ্ছা আছে। সময়ের সাথে সাথে লেখা-পাঠক দুটোই বদলে যাচ্ছে, তাই সময়কে ধরার জন্য একটু সময় নিচ্ছি। আশা আছে, হঠাৎ একদিন আবার ভালোভাবে শুরু করবো। কেননা- লেখালেখি আমার সত্তাকে জীবিত রাখে।জাগো জবস : সফলতা বলতে আপনি কী বোঝেন?মেহেদী শামীম : সফলতার ব্যাখ্যা পাল্টে যায় কারণে-অকারণে। কখনো কোনো এক পেক্ষাপটে আমি সফল, আবার অনেকগুলো পেক্ষাপটে আমি একদমই সফল না। সফলতার স্কেলটা বদলে যায় স্থান ও সময়ের সাথে সাথে। এক্ষেত্রে আমি একটা মেথড ব্যবহার করি। একটি নির্দিষ্ট সময়ে কিছু লক্ষ্য সেট করে তা অর্জন করার চেষ্টা করি। যদি অর্জন করতে পারি, তবে আমি ঐ কাজ বা সময়টুকুতে নিজেকে সফল বলে মনে করি। এটা নিজের কাছে নিজের সফলতা। কিন্তু বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে সফলতা অনেক কঠিনতম কাজ। পৃথিবীর সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। এখন সফল হওয়ার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হয়।জাগো জবস : আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।মেহেদী শামীম : আপনাকেও নিরন্তর ধন্যবাদ। ক্যারিয়ার বিশ্লেষণ নিয়ে জাগো জবসের এই উদ্যোগ সফল হোক।এসইউ/পিআর

Advertisement