বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলেছে রোহিত শর্মার দল। প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
Advertisement
৩০.১ ওভারে আড়াইশ, ২৪.২ ওভারে ২০০। এভাবেই কানপুর টেস্টে বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধুনো করে দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০ রানের বিশ্বরেকর্ডও গড়েছে রোহিত শর্মার দল।
কানপুরে যেন রানের বন্যা বইয়ে দিতে নেমেছে ভারত। ৩ ওভারে দলীয় ফিফটি করে ভারত। যা এর আগে আর কোনো দল করতে পারেনি। গেল জুলাইয়ে ট্রেন্ট ব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪.২ ওভারে ৫০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।
এরপর ১০.১ ওভারেই ১০০ রানের কোটা পার করে দ্বিতীয় বিশ্বরেকর্ড করেছে ভারত। টেস্টে ৬১ বলে আর কোনো দল ১০০ রান করতে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতেরই। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২.২ ওভারের ১০০ করেছিল ম্যান ইন ব্লুজরা।
Advertisement
ভারতের নতুন রেকর্ডে মূল অবদান রেখেছেন যসস্বি জয়সওয়াল। ৩১ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে তিনিও করেছেন দারুণ এক রেকর্ড। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেছেন জয়সওয়াল।
চা-বিরতির আগে মারকুটে জয়সওয়ালকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। টাইগার পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭২ রান করে ফেলেন ভারতীয় ওপেনার। খেলেন মাত্র ৫১ বল। ১৬ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেটে ১৩৮ রান করে চা-বিরতিতে যায় ভারত।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে শুরুতে উইলোবাজিতে মেতে ওঠেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও জয়সওয়াল। চতুর্থ ওভারে উড়তে থাকা রোহিতকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ বল পায়ে লাগলে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান রোহিত। কিন্তু পরের বলে তাকে বোল্ডই করে দিলেন মিরাজ। ১১ বলে ২৩ রান করেন ভারতীয় ওপেনার।
ভারতীয়রা দ্রুত রান তুলতে চাইলে টানা দুই ওভারে দুই শিকার করেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই স্পিনার ভারতীয় ইনিংসের ১৮তম ওভারে শুভমান গিল আর ২০তম ওভারে রিশাভ পান্তকে তুলে নেন। দুজনই আগ্রাসী খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। শুভমান ৩৯ আর পান্ত করেন ৯ রান। ১৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত।
Advertisement
পঞ্চম উইকেটে বিরাট কোহলি আর রিশাভ পান্ত ৫৯ বলে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন সাকিব আল হাসান, বিরাট কোহলিকে বোল্ড করেন। ৩৫ বলে ৪৭ করেন কোহলি।
সাকিব আর মিরাজ মিলে ৩৯ রানে ভারতের ৫টি উইকেট তুলে নেন। লোকেশ রাহুল ৪৩ বলে ৬৮ করে স্টাম্পিং হন মিরাজের বলে।
সাকিব ৭৮ রানে আর মিরাজ ৪১ রান খরচায় নেন ৪টি করে উইকেট। ৬৬ রানে একটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।
এমএমআর/এএসএম