খেলাধুলা

দ্রুততম দুইশরও বিশ্বরেকর্ড, লিড নিলো ভারত

২৪.২ ওভারে ২০০ পার। টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়লো ভারত। কানপুর টেস্টে বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধুনো করে দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০ রানের পর ২০০ রানেরও বিশ্বরেকর্ড গড়েছে রোহিত শর্মার দল।

Advertisement

এর আগে দ্রুততম দলীয় ২০০ রানের বিশ্বরেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনিতে ২৮.১ ওভারে দুইশ পার করেছিল তারা।

এদিকে একের পর এক বিশ্বরেকর্ড গড়া ভারত এরই মধ্যে লিড নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানের জবাবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেটে ২৪০ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। লোকেশ রাহুল ৪৫ আর বিরাট কোহলি ৪৭ রানে অপরাজিত আছেন।

কানপুরে যেন রানের বন্যা বইয়ে দিতে নেমেছে ভারত। ৩ ওভারে দলীয় ফিফটি করে ভারত। যা এর আগে আর কোনো দল করতে পারেনি। গেল জুলাইয়ে ট্রেন্ট ব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪.২ ওভারে ৫০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।

Advertisement

এরপর ১০.১ ওভারেই ১০০ রানের কোটা পার করে দ্বিতীয় বিশ্বরেকর্ড করেছে ভারত। টেস্টে ৬১ বলে আর কোনো দল ১০০ রান করতে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতেরই। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২.২ ওভারের ১০০ করেছিল ম্যান ইন ব্লুজরা।

ভারতের নতুন রেকর্ডে মূল অবদান রেখেছেন যসস্বি জয়সওয়াল। ৩১ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে তিনিও করেছেন দারুণ এক রেকর্ড। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেছেন জয়সওয়াল।

চা-বিরতির আগে মারকুটে জয়সওয়ালকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। টাইগার পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭২ রান করে ফেলেন ভারতীয় ওপেনার। খেলেন মাত্র ৫১ বল। ১৬ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেটে ১৩৮ রান করে চা-বিরতিতে যায় ভারত।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে শুরুতে উইলোবাজিতে মেতে ওঠেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও জয়সওয়াল। চতুর্থ ওভারে উড়তে থাকা রোহিতকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ বল পায়ে লাগলে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান রোহিত। কিন্তু পরের বলে তাকে বোল্ডই করে দিলেন মিরাজ। ১১ বলে ২৩ রান করেন ভারতীয় ওপেনার।

Advertisement

ভারতীয়রা দ্রুত রান তুলতে চাইলে টানা দুই ওভারে দুই শিকার করেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই স্পিনার ভারতীয় ইনিংসের ১৮তম ওভারে শুভমান গিল আর ২০তম ওভারে রিশাভ পান্তকে তুলে নেন। দুজনই আগ্রাসী খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। শুভমান ৩৯ আর পান্ত করেন ৯ রান। ১৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত।

এমএমআর/এএসএম