ফিচার

১২ স্ত্রী, ১০২ সন্তান নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার তার

শুনতে অবাক লাগলেও উগান্ডার মুসা হাসিয়া কাসেরার পরিবারের সংখ্যা ৭০০-এর বেশি। তার বয়স ৬৭। স্ত্রীর সংখ্যা ১২, রয়েছে ১০২-এর বেশি সন্তান৷ নাতি নাতনিদের সংখ্যা ৫০০-এরও বেশি। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার মুসা হাসিয়ার।

Advertisement

আমাদের দেশে যৌথ পরিবার আজকাল দেখাই যায় না। সেখানে উগান্ডার মুসা হাসিয়ার এই বড় পরিবার একটি নজির সৃষ্টি করেছে বটে। মুসার পরিবারের সব সদস্যের ছবি এক ফ্রেমে নেওয়া কঠিন। এমনকি তিনি সবাইকে চেনেন তেমনটাও নয়।

আরও পড়ুন গভীর সমুদ্রের রহস্যময় দৈত্য ওয়ারফিশ 

বিবিসি-এর তথ্য অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার এতদিন ছিল ভারতে৷ মিজোরামের জিওনা চানা পরিবার। ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে জিওনা মারা যান। তার ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান ছিল। শত শত নাতি-নাতনি রেখে গিয়েছেন তিনি।

তবে সেই রেকর্ড এবার ভেঙে দিয়েছেন মুসা। তিনিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের মালিক। তার ১০২টি সন্তান এবং ৫৭০ এর বেশি নাতি-নাতনি রয়েছে বলেই খবর। মুসা ২০ থেকে ৩০টি বাড়ির মালিকও!

Advertisement

উগান্ডার একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামে তারা বসবাস করেন। তবে খুব যে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন তাও নয়, আর্থিক সমস্যার পাশাপাশি নানান সমস্যা লেগেই থাকে। এরই মধ্যে তার দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

মাত্র ২ একর জমিতে এই পুরো পরিবারের বসবাস। রয়েছে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পোশাকের মতো জরুরি জিনিসের অভাব। সন্তান জন্মদান এবং পরিবার বড় হওয়ার অসুবিধা সম্পর্কে তেমন জ্ঞান ছিল না মুসার। তবে এখন তিনি বুঝতে পারছেন। আর সন্তান নিতে চান না তিনি।

বর্তমানে কোনো কাজ করেন না তিনি। ছেলে যারা বড় হয়েছে তারাই সংসার চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে। মুসা ১৯৭২ সালে একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে তার প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন। তখন তাদের উভয়ের বয়স প্রায় ১৭ এবং তার প্রথম সন্তান স্যান্ড্রা নাবওয়ারের এক বছর পরে জন্ম হয়েছিল।

মুসা পেশায় ছিলেন একজন গরু ব্যবসায়ী এবং কসাই। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার স্ত্রী এবং সন্তানের সংখ্যা। এখন তার মোট সন্তান ১০২ জন। যাদের বয়স ১০ থেকে ৫০ এর মধ্যে। তার সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রীর বয়স ৩৫ বছর। মুসা তার সব স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ের নামও মনে রাখতে পারেন না।

Advertisement

আরও পড়ুন এক রাতেই মারা যায় গ্রামের ১৮০০ মানুষ  বিশ্বের কোথায় আছে ট্রেন, টায়ারের কবরস্থান জানেন? 

তথ্য: বিবিসি, এনডিটিভি

কেএসকে/জিকেএস