জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা থেকে সাইফুল ইসলাম (২০) নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
শনিবার (২ঌ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর।
মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। তিনি সাইফুল ইসলাম কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ছোট শালগর গ্রামের মোহাম্মদ মোসলেউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ঘটনা পর থেকে আসামিরা বিভিন্ন স্থানে পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রযুক্তি সহযোগিতায় সাইফুল ইসলাম নামের আরও একজনের অবস্থান নিশ্চিতের পর অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সে সুবাদে ঢাকার কাছ থেকে সাইফুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীর রাতে গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে এজাহারভুক্ত আসামি মাহউদুল হাসান রায়হানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাহউদুল হাসান রায়হান হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
১৮ সেপ্টেম্বর সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা প্রান্তিক গেটে আসলে তাকে মারধর করে। পরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসলে সেখানেও মারধর করা হয়। এসময় পুলিশ উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার-১ (নিরাপত্তা) এর সুদীপ্ত শাহিন আটজনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিদের সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মাহফুজ নিপু/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement