পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য সিকিম ও প্রতিবেশী দেশ নেপালে এক নাগাড়ে বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। সে কারণে এরই মধ্যে গজোলডোবা বাঁধ থেকে পানি ছাড়া হয়েছে। পানির স্তর বেড়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীতেও। নদীর পাড় উপচে বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
Advertisement
দুর্গা পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) উত্তরবঙ্গ সফরে যান তিনি।
আরও পড়ুন>>
টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হলো পানি গজলডোবা বাঁধ দিয়ে পানি ছেড়েছে ভারত, বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে? নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ১২৬ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজএদিন কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, কেউ খবর নেয়নি। কেউ এক পয়সাও দেয়নি। একমাত্র আমরাই বন্যার টাকা থেকে বঞ্চিত।
Advertisement
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ডিভিসি কোনো সর্তকতা ছাড়াই ইচ্ছামতো পানি ছাড়ে। ফারাক্কা ব্যারেজে ঠিকমতো ড্রেজিং করে না কেন্দ্র। তাই পলি জমেছে। ফলে ওই ব্যারেজে জলধারণের ক্ষমতা কমছে।
পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির জন্য নেপালকে দায়ী করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, নেপাল যে কোশি নদীর পানি ছেড়েছে সেই পানি বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে। এর ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু করে ইটাহারের কিছু জায়গায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে রাত ১২টা থেকে পুলিশ মাইকিং করেছে এবং সবাইকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিহারেও বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নেপালে পানিতে বিহারও ভাসবে এবং পশ্চিমবঙ্গও ভাসবে। ফারাক্কায় ড্রেজিং করে না আজ ২০ বছর হয়ে গেছে। যদি ফারাক্কায় এই পানি ধরে রাখতে পারতো, তাহলে মালদহে বন্যা হতো না।
ডিডি/কেএএ/
Advertisement