বিদ্যমান ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০’-এ বেশ কিছু সংশোধনী আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বছরের মধ্যেই খসড়া চূড়ান্ত করার কাজ শেষ করতে চান দায়িত্বপ্রাপ্তরা। আইনটির সংশোধনীতে দেশে নতুন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার শর্ত আরও কঠোর হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইনের সংশোধনীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনা, সাময়িক অনুমতির মেয়াদ, পাঠ্যক্রম কমিটি, শিক্ষা কার্যক্রম ও মান নিশ্চিতকরণ, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের কোর্স পরিচালনা বা ক্যাম্পাস স্থাপন, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিস, বেতন কাঠামো ও চাকরি প্রবিধানমালাসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংশোধনী আনা হচ্ছে। আইনের মূল বিষয় ঠিক থাকলেও উচ্চশিক্ষার মান ঠিক রাখতে অনেক কিছুই পরিবর্তন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১ ০’-এর সংশোধনী (২০২৪) চূড়ান্ত করতে একাধিক কর্মশালা করা প্রয়োজন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) একটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। কর্মশালাটিতে আলোচনার মাধ্যমে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কর্মশালার উদ্বোধন করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। অংশ নেবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ, কৃষি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান সভায় উপস্থিত থাকবেন।
Advertisement
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে বেশ কয়েকটি কর্মশালা প্রয়োজন হবে। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার আগে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে সেটি বলা যাচ্ছে না। তবে অনুমোদনের ক্ষেত্রে কিছু কঠোর শর্ত যুক্ত হতে পারে। তাছাড়া শিক্ষার মান যাতে নিম্নমুখী না হয় সেদিকেও নজর রেখে আইনের ধারায় কিছু পরিবর্তন আসবে।
এএএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস