গাইবান্ধায় ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর মধ্যে তিস্তা নদীর পানি সকাল থেকে বাড়ছে।
Advertisement
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিস্তার পানি ৫৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার যমুনা, তিস্তা, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বিকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর মধ্যে পানি বেড়ে সুন্দুরগঞ্জের তিস্তা নদের কাউনিয়া পয়েন্ট বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঘাঘট ৫৬ সেন্টিমিটার, করতোয়ায় ৯০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে জানা যায়, পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে রোপণ করা আমনসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
Advertisement
কামারজানি ইউনিয়নের কালা সোনাচরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে তিস্তার চরে লাগানো আমন, শাক সবজি, বাদাম ও ডাল খেত তলিয়ে যাবে । ভারী বৃষ্টির কারণে বাদাম খেতের চারা উপড়ে পড়েছে।
মোল্লারচর ইউনিয়নের হাতিয়াচরের বাসিন্দা রাজা মিয়া বলেন, নদীতে পানি বাড়ছে, সেই সঙ্গে ভাঙনও শুরু হয়েছে। তবে বড় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা কম।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, বন্যা আর নদী ভাঙনে চরের মানুষদের সর্বনাশ করছে। মোল্লারচর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। পানি বেড়ে কিছু জায়গায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় প্রায় সব নদ- নদীর পানি বাড়লেও তিস্তা ছাড়া অন্যান্য নদের পানি বিদৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বড় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
Advertisement
এ এইচ শামীম/এএইচ/জেআইএম