প্রতিটি আসর শুরুর পূর্বমুহূর্তে একটি অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। নিলামে নাম ওঠার পর নানান অজুহাতে আইপিএলে খেলতে আসেন না অনেক বিদেশি ক্রিকেটার। এবার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
কোনো ক্রিকেটার নিলামে নাম দেওয়া সাপেক্ষে বিক্রি হওয়ার পর যদি খেলতে না আসেন, তাহলে তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার আইন পাস করেছে আইপিএল। অর্থাৎ পরবর্তী দুই বছর তারা আইপিএলে খেলতে পারবেন না। তবে যৌক্তিক কারণে কেউ খেলতে না পারলে বিষয়টি ভিন্নভাবে বিবেচনা করবে আইপিএল। গেল জুলাইয়ে আইপিএলের গভর্নিং বডির সভায় বিদেশি ক্রিকেটার নাম প্রত্যাহার ঠেকাতে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়। টুর্নামেন্টের ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজির সবগুলোই এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আইনও পাস করে ফেললো আইপিএল।
আইনে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো খেলোয়াড়, যিনি (একটি) নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং নিলামে বিক্রিত হয়েছেন; কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, তিনি দুই মৌসুমের জন্য আইপিএল বা আইপিএল নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গভর্নিং কাউন্সিল বলেছে, আঘাত বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে। সেটিও নিজের (খেলোয়াড়ের) দেশের বোর্ড দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে।’
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য মেগা নিলামে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। তারা শুরুতেই মিনি নিলামে নিবন্ধন করতে পারবেন না। এটি করা হয়েছে, যেন ক্রিকেটাররা মিনি নিলাম থেকে বিশাল অংকের অর্থ আয় করতে না পারেন। যেমনটি দেখা গেছে গেল ২০২৪ আসরে দুই অস্ট্রেলিয়ান মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের ক্ষেত্রে।
Advertisement
২০২৪ আসরে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ২০ কোটি ৫০ লাখ ভারতীয় রুপিতে কামিন্সকে দলে নেয় সানরাইরার্স হায়দরাবাদ। এর কয়েক ঘণ্টা পর সেই রেকর্ড ভেঙে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপির বিনিময়ে স্টার্ককে কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
নিবন্ধন সংক্রান্ত বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিদেশী খেলোয়াড়দেরকে মেগা নিলামের জন্য অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। যদি কেউ নিবন্ধন না করে, তবে তিনি পরবর্তী মিনি নিলাম মিস করবেন। শুধুমাত্র ইনজুরি/চিকিৎসা অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে। সেটি মেগা নিলামের আগে (খেলোয়াড়দের) দেশীয় বোর্ড থেকে নিশ্চিত করতে হবে।’
এমএইচ/এমএস
Advertisement