কুড়িগ্রামের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে।
Advertisement
এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ধান, বাদাম ও মরিচক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সকাল ৯টায় এ তিন নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা নেই।
এদিকে পানি বাড়ায় তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতঘর, কাঁচা সড়ক তালিয়ে গেছে। শুধু রাজারহাট উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৬০০ পরিবার।
Advertisement
এছাড়া তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসলের ক্ষেতে পানির নিচে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি অফিস।
রাজারহাট উপজেলার খিতাব খা গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল কাদের বলেন, তিনবিঘা জমিতে আধাপাকা ধান তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও বাকি সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।
আরেক কৃষক মো. নুর ইসলাম বলেন, শাক-সবজি ও বাদামক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন পানি হবে চিন্তাও করতে পারিনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমনক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ফজলুল করিম ফারাজী/আরএইচ/এমএস
Advertisement