কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ম্যাচ চলাকালীন দুইবার হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। আউটফিল্ড ভেজা থাকার কারণে ম্যাচটি শুরু হতেও দেরি হয়েছিল এক ঘণ্টা। ওইদিন সারাদিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়।
Advertisement
আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। মুষলধারে বৃষ্টি দেখে অনেক আগেই দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ক্রিকেটাররা চলে যান হোটেলে।
ভারতের মাটিতে অনেকদিন পর সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দিনগুলো এভাবে ভেস্তে যাওয়া মোটেই স্বস্তিকর নয় বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে।
শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই প্লেয়ার হিসেবে তো অবশ্যই একটা অস্বস্তিকর ব্যাপার। অনেক কষ্ট করে খেলাটা শুরু হলো, মাঝে কিছুক্ষণ খেলাও হলো, এরপর আবার বন্ধ হয়ে গেলো। আজকে সারা দিন খেলা হলো না। প্লেয়ার হিসেবে অবশ্যই এটা অস্বস্তিকর। আসলে কিছু করার নেই, আমাদের নিয়ন্ত্রণেও এটি নেই। তবে খেলা হলে ভালো লাগতো।’
Advertisement
প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৫৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন শান্ত। এতে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১০৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন মুুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম।
পিচে সেট হওয়ার পরও নিজের আউট মেনে নিতে পারছেন না শান্ত। তিনি আউট না হলে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানেই থাকতো বলে দাবি টাইগার অধিনায়কের।
শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় একটা উইকেট আমাদের বেশি পড়েছে। আমরা ব্যাটিংয়ে যে অবস্থায় আছি। শুরুটাও ভালো হয়েছিল। তবে আমি বলবো না যে, খুব খারাপ অবস্থানে আছি; যে উইকেটে আমরা খেলছি। আমাদের অনেকগুলো ব্যাটার আছে। এখান থেকে যদি দুইটা বড় জুটি হয় ভালো অবস্থানেই যাবো। এই মুহূর্তে যদি খেলার অবস্থান দেখি, আমার মনে হয় মাঝামাঝি একটা অবস্থানে আছি।’
বৃষ্টির কন্ডিশন নিয়ে শান্ত বলেন, ‘উইকেট ভালোই ছিল। আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জ এখানে যে জিনিসটা বেশি বৃষ্টিতে অন এন্ড অফ একটা খেলা হচ্ছে। লম্বা সময় খেলার জন্য বৃষ্টির একটা বাঁধা থাকেই। এটা মাথায় নিয়েই ব্যাটাররা ব্যাটিং করছে। যেটা একটা কঠিন ব্যাপার। তাছাড়া আমি বলবো যে, উইকেট ভালোই ছিল। সামনে হয়তো দিন ৩-৪ এ যেহেতু বৃষ্টি সেরকম রোদও পাচ্ছে না, খেলাটা আবার শুরু হলে বুঝা যাবে উইকেট কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’
Advertisement
এমএইচ/জেআইএম