দেশজুড়ে

শেখ হাসিনা দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে পালিয়েছেন

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে পালিয়েছেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে খেলাফতে মজলিসের ‘ছাত্র জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যে’র বিরুদ্ধে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

Advertisement

মামুনুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কিছুদিন পর বিজয়কে ছিনতাই করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট এর বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল সে স্বাধীনতাকেও পরাজিত শক্তির দোসররা ইসলামবিদ্বেষী করার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা দেশে প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিলেন। সে প্রতিশোধ নিয়েছেন মানুষের কাছ থেকে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরশাসক হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ গ্রেফতার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। কিন্তু তিনি দলের নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়ে যাননি। খালেদা জিয়া একাধিকবার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তিনিও দেশ ছেড়ে পালাননি। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও তিনি বছরের পর বছর অসুস্থ অবস্থায় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। শেখ হাসিনাকে নিজের তল্পিতল্পাসহ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এ পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ঐতিহ্যবাহী দলটি সারাদেশের মানুষের সামনে কলঙ্কিত করে তুলেছে।

মামুনুল হক বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ যে নির্যাতন চালিয়েছে তার নজির ইতিহাসে পাওয়া কঠিন। আওয়ামী লীগ যেটা করত, রাতের আঁধারে কালনাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারতো। আর দিনের আলোতে তারাই আবার ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসতো। এভাবে নাটক সাজিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন চালিয়ে, তাদের বাড়িঘর দখল করে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে। আবার তারা মায়াকান্না করে সংখ্যালঘুদের সহানুভূতি অর্জন করে তা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখন বাংলাদেশে শেখ হাসিনাও নেই, আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নেই, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাও নেই।

Advertisement

ভারতে নবিকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করে মামুনুল হক বলেন, প্রয়োজনে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ওরা আপনার নবিকে গালি দেবে, আর আপনারা তাদের ইলিশ মাছ পাঠাবেন, এদেশের মানুষ সেটাকে ভালো চোখে দেখে না।

খেলাফত মজলিস নেত্রকোনার সভাপতি শাইখুল হাদিস আল্লামা জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসনাত জালালী, সহ-বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এইচ এম কামাল/আরএইচ/এএসএম

Advertisement