অর্থনীতি

নবীন-প্রবীণদের মেলবন্ধনে আয়োজিত হলো ‘অনুষঙ্গ’

সমাজের যেই সব প্রবীণদের ঠিকানা আজ বৃদ্ধাশ্রমে তাদের জন্য একটা আনন্দপূর্ণ দিন কাটানোর ব্যবস্থা করেছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব। এজন্য তারা আয়োজন করেছিল অনুষঙ্গের।

Advertisement

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ আয়োজনে গাজীপুরের মনিপুরের হোতাপাড়া এলাকায় অবস্থিত গিভেন্সি গ্রুপের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ক্লাবের প্রায় ১০০ জন সদস্যসহ ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাহ উল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনের সঙ্গে ছিল বায়োজিন, কে. টি. এম ও ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার।

সমাজের প্রবীণদের মাঝে তরুণ প্রাণের উদ্দীপনার আলো ছড়াতে, একটি দিন তাদের সঙ্গে বসে, তাদের কথা শোনার জন্য ক্লাবের সদস্যরা মিলে নানা আয়োজনে মেতেছিল। কখনো আধুনিক প্রজন্মের জনপ্রিয় গেইম পিলো পাসিং খেলার মাধ্যমে, কখনো পুরানো দিনের গানের আয়োজনের মাধ্যমে। এই বিশেষ মুহূর্তকে আরও রঙিন করতে উপস্থিত হয়েছিলেন কার্টুনিস্ট সাঈদ রাশেদ ইমাম তন্ময়। যার রঙের জাদু ছড়িয়ে ছিল চারপাশে। এর পাশাপাশি, পরিবেশকে উপযোগী করে তোলার জন্য ক্লাবের সদস্যরা বৃক্ষরোপণের কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। এই উদ্যোগটি সফল করতে পেইন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল এশিয়ান পেইন্টস।

এছাড়াও, ক্লাবের সদস্যরা চেষ্টা করেছে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ ও হুইলচেয়ার তাদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার। আরও একটি বিশেষ আয়োজন ছিল বৃদ্ধাশ্রমের মলিন ঠিকানাটির দেয়াল ও আঙিনায় আলপনা দিয়ে সাজানোর।

Advertisement

ক্লাব প্রেসিডেন্ট মৌরিন ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা প্রায়ই ব্যস্ত জীবনে আটকে যাই। কিন্তু ‘অনুষঙ্গ’ ইভেন্ট আমাদের ফিরিয়ে দেওয়ার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানো একটি শক্তিশালী অভিজ্ঞতা। আশা করি এটি আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে সমাজে অবদান রাখার উপায়গুলি খুঁজে বের করতে ।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাউল হাসান চৌধুরী বলেন, অনুষঙ্গ অপূর্ব সুন্দর চেতনার একটি উদ্যোগ। বয়স্কদের যত্ন নেওয়া একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করে। এই আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সহানুভূতি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা তরুণ প্রাণে ভবিষ্যতের জন্য আলোড়ন ছড়াতে চায় ও মানসিকতার বিকাশ চায়।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব ১৯৯৪ সালে একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

এসআইটি/এমএস

Advertisement