ধর্ম

নামাজের শুরুতে সানা পড়ার বিধান

নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমার পর অনুচ্চস্বরে সানা পড়া সুন্নতে মুআক্কাদা। তাকবিরে তাহরিমার পর হাত বেঁধেই নামাজে নিয়ত বাঁধার পর প্রথম কাজ হলো সানা পড়া। একা নামাজা আদায়কারী, ইমাম ও মুক্তাদি সবার জন্যই সানা পড়া সুন্নত।

Advertisement

তবে মুক্তাদি যদি ইমাম সানা পড়ে ফেলার পর নামাজে শরিক হয় এবং ইমাম উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়তে থাকেন, তাহলে মুক্তাদি সানা না পড়ে ইমামের তিলাওয়াত শুনবে। ইমাম নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে থাকলে মুক্তাদি নামাজে শরিক হয়ে সানা পড়তে পারে।

কারণ ইমাম যখন কোরআন তিলাওয়াত করেন, তখন ইমামের তিলাওয়াত শোনা মুক্তাদিদের ওপর ফরজ। আল্লাহ বলেছেন,

وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

Advertisement

যখন কোরআন পড়া হয়, তখন চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শোনো, হয়তো তোমাদের দয়া করা হবে। (সুরা আরাফ: ২০৪)

ইমাম রুকুতে চলে যাওয়ার পর কেউ জামাতে শরিক হলেও সানা না পড়ে ইমামকে অনুসরণ করে রুকুতে চলে যেতে হবে। অনেকে এ সময় সানা পড়তে গিয়ে ওই রাকাতই ছেড়ে দেয়, এটা ঠিক নয়।

ইমাম রুকুতে যাওয়ার পর জামাতে শরিক হলে মুক্তাদি দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবিরে তাহরিমা বলবে। তারপর হাত না বেঁধে আবার তাকবির বলে রুকুতে চলে। রুকুর জন্য আলাদা তাকবির না বললেও সমস্যা নেই। সাহাবিদের থেকে এ রকম ক্ষেত্রে রুকুর তাকবির বলা ও না বলা উভয় রকম আমলই বর্ণিত রয়েছে।

অর্থ ও উচ্চারণসহ সানা

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাজ শুরু করতেন, তখন বলতেন,

Advertisement

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالِىْ جَدُّكَ وَ لَا اِلَهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আপনার নাম অতি বরকতময়। আপনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৩)

পুরো নামাজে একবারই সানা পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেউ নামাজে মাসুবক হলে এবং সানা পড়ার সুযোগ না পেলে ইমামের সঙ্গে নামাজ শেষে যখন ছুটে যাওয়া নামাজের জন্য দাঁড়াবেন তখন সানা পড়ে নেবেন।

ওএফএফ/এএসএম