টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। যে কারণে টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন শহিদ আফ্রিদি। কোচের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন ওয়াকার ইউনুস। শুধু তাই নয়, নির্বাচক প্যানেলেও আমুল পরিবর্তন আনা হয়েছে।অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদির স্থলাভিষিক্ত হলেন সরফরাজ আহমেদ। নির্বাচক মণ্ডলির দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে ইনজামাম-উল হকের হাতে। তিনি আবার দল থেকে আফ্রিদিকে পুরোপুরিই ছেঁটে ফেললেন। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে কোচ নিয়ে। দেশি কোচ নিয়োগ দেয়া হবে নাকি বিদেশি- এ সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না পিসিবি কর্মকর্তারা। যদিও কোচ নিয়োগের জন্য যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে ওয়াসিম আকরাম আর রমিজ রাজাকে দিয়ে- তারা দু’জন বিদেশি কোচ আনার পক্ষেই। যে কারণে কোচের পদের জন্য আবেদন করা থেকে বিরত থেকেছেন আকিব জাভেদ।এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড থেকে বিদেশি কয়েকজন পাকিস্তানের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পিসিবির পছন্দ ছিল ইংলিশ কোচ পিটার মুরস। তবে তিনি পিসিবিকে সরাসরি ‘না’ করে দিয়েছেন। এরপর পিসিবির আগ্রহ বেড়েছে বাংলাদেশের সাবেক কোচ, অস্ট্রেলিয়ান স্টুয়ার্ট ল’য়ের প্রতি। যদিও বিষয়টা চূড়ান্ত নয়।তবে এরই মধ্যে পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, তারা পাকিস্তানের জন্য একজন কোচ চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। তবে তার নাম এখনই ঘোষণা করতে চাচ্ছেন না তিনি। আবার সেই কোচ দেশি না বিদেশি সেটাও রহস্য রেখে দিলেন শাহরিয়ার খান।লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন কোচ চূড়ান্ত করে ফেলেছি। তবে এই মুহূর্তে তার নাম বলবো না। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে তার নাম জানিয়ে দেয়া হবে। এর মধ্যে আরও কিছু আলোচনা আমাদের বাকি রয়েছে। সেগুলো সেরে রাখতে চাই। এমনকি তিনি দেশি না বিদেশি সেটাও বলবো না।’প্রধান কোচ নির্বাচন করার পর তার নাম উত্থাপন করা হয় বোর্ড অব গভর্নর্সের টেবিলে। সেখানে সবাই উন্মুক্ত আলোচনায় যোগ দেন। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করা হয় কোচের নাম। সেই আলোচনাটাই নাকি এখনও বাকি রয়েছে। যে কারণে কোচের নাম ঘোষণা করা যাচ্ছে না।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement