কিশোরগঞ্জে বেড়েছে বস্তায় আদা চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এতে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমেছে বলে দাবি কৃষি অধিদপ্তরের।
Advertisement
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার দনাইল এলাকার দিলোয়ার হোসেন পতিত জমিতে ২ হাজার বস্তা আদা চাষ করেছেন। পরিমাণমতো মাটি ও গোবর সার মিশ্রণ করে সিমেন্ট আর বালির বস্তায় আদা চাষের খরচ মাত্র ৫০-৫৫ টাকা। একটি বস্তায় ১ থেকে দেড় কেজি আদা ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। জেলায় এ বছর প্রায় দেড় লাখ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। যাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ মেট্রিক টন।
কৃষক দিলোয়ার হোসেন বলেন, ‘অনাবাদি পতিত জমিতেও চাষ করা যায়। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করেছি। বর্ষায় পানি জমে গেলেও পচনসহ রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা কম। আমাদের মতো সাধারণ কৃষকদের এ পদ্ধতিতে আদা চাষে কারিগরিসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।’
আরও পড়ুন সাতক্ষীরার বাজারে চাহিদা বাড়ছে পানিফলের চিনির বিকল্প স্টিভিয়া চাষে সফল জীবনকৃষ্ণসদর উপজেলার কামালিয়াচর ব্লকের উপসহকারী কৃষক কর্মকর্তা রবিউল করিম বলেন, ‘বস্তায় আদা চাষে রোগবালাই নেই বললেই চলে। প্রয়োজনে আক্রান্ত গাছ সরিয়ে নিলে অন্য গাছ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। গত মৌসুমে আদার বীজে ঘাটতি থাকলেও এ বছর যেন তা না হয়, এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।’
Advertisement
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন আদার চাহিদা আছে। যার বিপরীতে মাত্র ৫০ হাজার মেট্রিক টন আদা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। বাকি আদা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বস্তায় আদা চাষে গুরুত্ব দিলে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।’
এসইউ/এএসএম